আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, আসম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নারা বিএনপির ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জোটগত নির্বাচনের তথ্য জানানোর শেষ দিন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে জমা দেন। গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘গণফোরাম’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।’
চিঠি জমা দেওয়া পর সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ঐক্যফ্রন্টের নিবন্ধিত চারটি দল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে। এগুলো হলো-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও গণফোরাম।
গত ১১ নভেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জানিয়েছিল ছিল, দলটির নিজের প্রতীক ‘গামছা’ অথবা ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রতীক ব্যবহার করবে। একই দিন ড. কামাল স্বাক্ষরিত গণফোরামের চিঠিতে ইসিকে জানানো হয়েছিল, গণফোরাম যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে দলীয় প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ প্রতীকে অংশ নেবে।’
এদিকে ঐক্যফ্রেন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপির বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠিতে আরও তিনটি দলকে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক দেবে বলে জানিয়েছে। বিএনপি এর আগে আটটি দলকে ধানের শীষ দেবে বলে জানিয়েছিল।
দলটির গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আগে পাঁচটি দলকে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক দেওয়ার বিষয়ে ইসিকে জানানো হয়েছিল। আজ গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্যকে প্রতীক দেওয়ার কথা জানানো হলো। মাহমুদুর রহমান মান্না যেহেতু নির্বাচন করবেন, তার দল নিবন্ধিত নয়, তাই জানানো হলো।’
পুনঃতফসিলে পর বৃহস্পতিবার জোটগত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার তথ্য সরবরাহের শেষ দিন ছিল। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ করা হবে। ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।
Discussion about this post