শিক্ষা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী শনিবারের মধ্যে বাতিল করে ফের নির্বাচনের দাবিতে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পাঁচ প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। দাবি আদায়ে ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দাবি মেনে না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁসিয়ারি দেন তারা।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ হয়ে ভিসির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ করে অবস্থান নেয়।
এর আগে রাজু ভাস্কর্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনের জিএস প্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন শনিবারের মধ্যে বাতিল ঘোষণা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সকল শিক্ষককে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একইসঙ্গে দলনিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচটি প্যানেল একত্রিত হয়েছি। আপনারা জানেন, প্রতিটি হলে কি পরিমাণ ভোট ডাকাতি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, কুয়েত-মৈত্রী হল, রোকেয়া হলে ব্যালট ভর্তি ভোটের বাক্স পাওয়া গেছে। মেয়েদের হলে আধিপত্য কম থাকা সত্বেও সেখানে যে পরিমাণ ভোট কারচুপি হয়েছে তাহলে, ছেলেদের হলে কী পরিমাণ কারচুপি হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অপর নেতা ও ডাকসু নির্বাচনের এজিএস প্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবি যদি মেনে না নেয়া হয়, তাহলে রবিবার থেকে সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাবির একেকজন শিক্ষার্থী এক একটা স্ফুলিঙ্গ। এ স্ফুলিঙ্গ একবার জ্বলে ওঠলে পুরো জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রোকেয়া হলের আপুদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা তিনদিনের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুরো ঢাবি অচল করে দেয়া হবে।’
এ সময় নুরুল হক নুর শপথ নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নুর এখন খুব অসুস্থ। সে মেডিকেলে আছে। তার শপথ নেয়ার ব্যাপারে আমরা পাঁচটি প্যানেল একত্রে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post