৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন না করার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিমকে অধ্যক্ষ কুল-ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনার কোন সমাধান গতকাল রোববার পর্যন্ত হয়নি। অপরদিকে গতকাল রোববার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের অনুরোধে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে গেলেও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী,অভিবাবক,শিক্ষকমন্ডলী ও স্থানীয় সুশীল সমাজে এখনও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক মন্ডলী ঐ দিন এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর নিকট অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য,৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন না করার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের সহকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিমকে অধ্যক্ষ কুল-ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে আহত করার ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করে কøাস বর্জন ও বিক্ষোভ করে। এরপর বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কালিহাতী উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম ও সম্পাদক মোঃ নাজমুল করিমসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী ও অধ্যক্ষের সাথে পৃথক বৈঠক করেন। এ সময়ও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ ও ইউ.এন.ও মহোদয়ের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বন্ধ করে। পরে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটি ছুটি ঘোষণা করেন।
গতকাল রবিবার ইউ.এন.ও মহোদয় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ঘটনাটির সমাধান করার কথা থাকলেও তিনি না গিয়ে তাঁর প্রতিনিধি উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাকে প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেন। অধ্যক্ষ এবং গভর্নিং বডির সদস্য শুকুর মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। এ বিষয়ে তারা আরও জানান, সোমবার সকাল ৭ টায় গভর্নিং বডির সভা আহ্বান করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক এবং গভর্নিংবডির সদস্য সূত্রে জানা যায় বর্তমান অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা গভর্নিংবডিকে ফাঁকি দিয়ে জাল অভিজ্ঞতার সনদ ব্যবহার করে অধ্যক্ষ পদ লাভ করেছেন। তার সনদ জাল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়। এছাড়া শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গভর্নিংবডির সদস্যসহ অনেক অভিভবকের নিকট থেকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম,দুর্নীতি,সেচ্ছারিতাসহ অসদ আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত ৫ বছর যাবৎ জাল সনদ দিয়ে অধ্যক্ষের পদে বহাল আছেন বলে জানা যায়।
Discussion about this post