কারকনিউজ ডেস্ক : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় ভোটের দিন নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেনসহ ১১ নেতাকর্মীকে আটকের পর পাঁচদিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে দুর্গাপুর পৌর ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী,ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নুর হোসেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলাইমান আলী, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, দৌলিয়া বাড়ি ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জজামান মনি, ভাগ্নে রবিউল ইসলাম রবিন ও আওয়ামী লীগ কর্মী সাকিল।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ জানান, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের দিন নাশকতার পরিকল্পনা করতে তারা পৌরসভায় গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। পরে সবাইকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেয়া হয়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব বলেন, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মজিদের সমর্থকরা বিধি ভঙ্গ করে বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এই অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে।
এ সময় মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের কাছে তার লাইসেন্স করা অস্ত্র পাওয়া যায়। নির্বাচন কেন্দ্র করে অস্ত্র জমা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি জমা দেননি। তাদের আটকের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ ও জর্জ মিত্র চাকমা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে পাঁচদিন করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
Discussion about this post