কারকনিউজ ডেস্ক : সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজ রঙের রেল কোচগুলোর প্রথম চালান। ফেব্রুয়ারী মাসের সপ্তাহে আমদানি করা কোচগুলোর মধ্যে ১৫টি রেল কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছায়। কোচ গুলির সার্বিকদিক যান্ত্রিক নিরীক্ষণ হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
ব্রডগেজ (বড়) লাইনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। অত্যাধুনিক এসব কোচ নির্মাণ করছে সে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন রেলওয়ে ক্যারেজ (কোচ) নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা)। ওই প্রতিষ্ঠানে মিটার গেজ (ছোট) লাইনের জন্য আরও ২০০টি কোচ নির্মাণ করা হচ্ছে।
এসব কোচের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করতে এরই মধ্যে ইন্দোনেশীয় ১১ জন বিশেষজ্ঞ এবং সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা কোচগুলোর হাইড্রলিক ব্রেক ও যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন।
বুধবার(৭মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ঐ সব কোচ পরিদর্শনে আসেন রেল মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সূজন। তিনি বলেন, রেলওয়ের উন্নয়ণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে মিটার গেজের সাড়ে ৫শ নতুন কোচ, ১শ নতুন ইঞ্জিন ও মালামাল পরিবহনের জন্য নতুন ওয়াগন আমদানি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধুমাত্র সড়ক পথে ঘন বসতি পূর্ণ বাংলাদেশের জনগনের যাতায়াত ব্যবস্থার সমাধান করা যাবে না, তাই অতিদ্রæত রেল বহরে উল্লেখিত কোচ, ইঞ্জিন ও ওয়াগন যুক্ত করে রেলকে যুগোপযোগি করা হবে। তিনি আরো বলেন, যে সমস্ত জেলার সাথে এখনও রেল যোগাযোগ নাই সেসব জেলার সাথে রেল যোগাযোগ চালু করা হবে।
উল্লেখ যে, ব্রডগেজ লাইনের জন্য ৫০টি কোচ আমদানিতে ব্যয় হয় ২১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। কোচগুলো অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন, আধুনিক ও এর আসনগুলো খুব আরামদায়ক। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম এগুলো। এর আগে এত দ্রুত গতির ট্রেন বাংলাদেশে চলেনি। এছাড়া, বিমানের মতো বায়োটয়লেট সংযোজন করা হয়েছে ওইসব কোচে। এতে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়বে না মানববর্জ্য। ফলে ট্রেনটি হবে পরিবেশবান্ধব।
Discussion about this post