স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের মীরের বেতকা এলাকায় রাস্তার ওপর নির্মিত ব্রীজটির ঢালাই ভেঙে রড বেরিয়ে গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। আশে পাশের বোয়ালী, নগর জলফৈ, আশেকপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এটি পারাপার হচ্ছে। তবে অটোরিক্সা, টেম্পো, রিকশা, ভ্যান, পিকআপ যাতায়াত বন্ধ হয়েছে কয়েকদিন যাবত। তাই ব্রীজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকার কয়েকজন জানান, এই ব্রীজের ওপর দিয়ে উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। প্রায় দেড় মাস আগে এই ব্রীজের আংশিক সলিং ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রা ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও উর্দ্ধতম কর্মকর্তাকে জানালেও কোন কাজে আসেনি। দিন যতই যাচ্ছে ততই ভাঙ্গনের পরিমাণ বেশি হচ্ছে। ফলে কয়েকদিন যাবত মানুষ ছাড়া অন্য কোন যানবাহন যাতায়াত করতে পারে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রীজের দুই পাশে বাঁশের খুটিতে লাল পতাকা টাঙানো। ব্রীজের উত্তর পাশে বিশাল আকৃতির ও দক্ষিণ পাশে প্রায় অর্ধেক সলিং ভেঙে রড বেড়িয়ে আছে। মানুষ, বাইসাইকেল, মটর সাইকেল ছাড়া অন্যকোন যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। রাতের অন্ধকারে যেকোন মুহুর্তে প্রাণ নাশের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুই পাশের রেলিং ভাল থাকলেও সলিং ভেঙ্গে পড়ায় ব্রীজটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে এই রাস্তায় চলাচলরত মানুষদের। লগরজলফৈ বাইপাস ও বাজিতপুর ঘুরে টাঙ্গাইল শহরের যাতায়াত করতে হয়।
মীরের বেতকা এলাকার মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে এই ব্রীজের সলিং ভেঙ্গে যায়। মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানানো হলেও তাৎক্ষনিক কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় ভাঙ্গনের পরিমাণ ভেড়েই যাচ্ছে। ফলে আমাদের যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হয়। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
একই এলাকার মো. ইলিয়াস বলেন, ব্রীজের সলিং ভেঙে যাওয়া দুর্ঘটনা রোধে আমরা বাঁশের খুটিতে লাল পতাকা লাগিয়েছি। ব্রীজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হলে আমাদের দুর্ভোগ লাগব হবে। তাই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ব্রীজের সলিং ভাঙ্গায় আমাদের অনেক ঘুরে শহরে যাতায়াত করতে হয়। আবার শহর থেকেও অন্য এলাকা ঘুরে আমাদের এলাকায় আসতে হয়।
মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক পথচারি বলেন, অপরিচিত কোন মানুষ রাতের বেলায় এই রাস্তায় আসলে দুর্ঘটনার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অনেকেই ভাল ব্রীজ ভেবে যাতায়াত করার সময় দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে।
ইউপি মেম্বার মো. ওয়ারেছুর রহমান বলেন, ব্রীজ সম্পর্কে আমি অবগত আছি। ব্রীজটি সংস্কারের জন্য সদর এলজিইডি’তে আবেদন করা আছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজটি সংস্কার করা হবে।
সদর এলজিইডি’র প্রকৌশলী ফারুখ আহমেদ বলেন, ব্রীজটি সংস্কারের জন্য সদর দপ্তরের আবেদন পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজটি সংস্কার করা হবে।
Discussion about this post