আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থীদের সম্পর্কে বিভিন্ন সংস্থার করা পাঁচটি জরিপ এবং আরো কয়েকটি বিষয় পর্যালোচনা করে যোগ্য প্রাথী বেছে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী দু’এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করতে পারবো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৬৫ থেকে ৭০ টি আসন শরীকদের মধ্যে ভাগাভাগি হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগুচ্ছি। এটা আরও কমতে পারে, এর সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে। যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীরাই আমদের মনোনয়ন পাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আমাদের শরীক তাদের মধ্যে কতজন ইলেকটেবল ক্যান্ডিটেডস, তা দেখতে হবে। শরীকরা চাইলেই তা হবে না, প্রার্থীকে জনপ্রিয় ও যোগ্য হতে হবে। আওয়ামী লীগের সবাই চাইলেও তো আর মনোনয়ন পাবে নাএখানে যারা ক্যান্ডিটেবল তারাই মনোনীত হবেন। পার্লামেন্টারি বোর্ড সেটাই করবেন।
বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পথে কোনো বাধা হিসেবে দেখছে কি না, এমন প্রশ্নেন জবাবে কাদের বলেন, ‘কোনো বাধাই এবার জনগণ মানবে না।’
নির্বাচনী কাজে গণভবন ব্যবহৃত হচ্ছে, এ অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গণভবনে কোনো আনুষ্ঠানিক সভা আমরা করছি না। অনানুষ্ঠানিকভাবে মত বিনিময়ের জন্য যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
Discussion about this post