মাভাবিপ্রবি সংবাদদাতা : মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ধাৎপূর্ণ ও জোড়পূর্বকভাবে শিক্ষক বাসে উঠে পড়ার ঘটনায় রেজিস্ট্রারের অপসারনসহ ৩ দফা দাবিতে ১২ মার্চ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শিক্ষক লাউঞ্জে এক জরুরী সভার পর ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর এ ৩ দফা দাবি জানিয়ে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। ১২ তারিখের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে তারা ঘোষনা দিয়েছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিবহন পরিচালককে অবরুদ্ধ করে তার সাথে অসৌজন্যমুলক আচরনের জন্য কর্মকর্তাদের ক্ষমা চাওয়া, কর্মকর্তাদের জোড়পূর্বক শিক্ষকদের বাসে উঠার ঘটনায় ডিসিপ্লিনারি কমিটি গঠন করে দোষীদের বিচার, কর্মকর্তাদের শিক্ষকবাসে উঠার জন্য উস্কানি দেয়ায় অযোগ্য রেজিস্ট্রার ড. ইঞ্জি: মোহাঃ তৌহিদুল ইসলামের অপসারন চেয়ে আল্টিমেটাম জানিয়েছে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবহনে চড়বেন না এবং ১২ মার্চের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত না হলে সকল ধরনের একাডেমিক ও প্রসাশনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
জরুরী সভায় শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঈন্দনে কর্মকর্তারা উদ্ধাৎপূর্ণ ও জোড়পূর্বকভাবে শিক্ষকদের বাসে উঠে পড়ে। রেজিস্ট্রারের বিএনপি-জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন তথ্য প্রমান তাদের কাছে রয়েছে। শিক্ষকদের প্রোমোশন-আপগ্রেডেশন, স্কলারশিপ ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য ব্যক্তিগত অনেক তথ্য রেজিস্ট্রারের কাছে দিতে হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রার অনেক গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দেন। বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের অমূল্যায়ন ও অসম্মানজনক কথা বলেন, কর্মকর্তাদের উস্কানিমুলক কথা বলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে নামিয়ে দেন। এ পরিস্থিতে শিক্ষকরা রেজিস্ট্রারকে অনিরাপদ মনে করেন।
পরিবহন কমিটি ও পরিবহন ক্রয় কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মহিউদ্দিন বলেন, ”শিক্ষকরা কখনই কর্মকর্তাদের গাড়ি ক্রয়ে বাধা তৈরি করেনি। কর্মকর্তারা এসি বাস ক্রয়ের ব্যপারে প্রাথমিকভাবে পরিবহন কমিটিকে কখনই জানায়নি। মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরের সামনে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি স্বীকার করে বলেছেন কর্মকর্তারা পরিবহন কমিটির কাছে এসি গাড়ি ক্রয়ের ব্যপারে বলেননি, তারা ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে চেয়েছেন। বিশ^বিদ্যালয়ের হিসাব শাখার পরিচালকও জানিয়ে দিয়েছেন কর্মকর্তাদের জন্য এসি গাড়ির অনুমোদন ইউ.জি.সি দিবে না।”
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ড. পিনাকী দে বলেন, ”আমরা শিক্ষকরা মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর আমাদের অভিযোগ জানিয়েছি। রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি। তবে ১২ মার্চের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হলে আমরা শিক্ষকরা সকল ধরনের একাডেমিক ও প্রসাশনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকব।”
Discussion about this post