স্বাস্থ্য ডেস্ক : প্রাপ্তবয়স থেকে শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কমপক্ষে সকাল-সন্ধ্যা ২ বার ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
উপকারিতা:
শারীরিক ব্যায়ামের উপকারিতা অনেক। শারীরিক ব্যায়াম ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। মানবদেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। রোগ-বালাই কমিয়ে আয়ুষ্কাল বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের চর্বির আধিক্য বা বাড়তি চর্বি কমায়। যারা উচ্চরক্তচাপে ভোগেন, নিয়মিত ব্যায়াম তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। ব্যায়াম কিছু ক্যানসার, যেমন ক্যানসার কাকেক্সিয়া, ব্রেস্ট ক্যানসার, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। প্রাত্যহিক ব্যায়াম পেশিকে সবল করে। যারা দীর্ঘসময় ধরে মাংসপেশি ও সন্ধি বা হাড়ের ব্যথায় ভোগেন, ব্যায়াম দ্বারা সেই ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। হৃদরোগ বা হৃৎপিন্ড ও রক্তনালীর অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। হৃৎপিন্ডকে সবল রাখে। ভাইরাসের আক্রমন থেকে দেহকে সুরক্ষিত করে। ধমনীতে অবাঞ্ছিত কিছু থাকলে তার নিঃসরণ ঘটায়। মানসিক অবস্থার উন্নতি করে। মানসিক চাপ ও মন-মরা ভাব দূর করে। স্মরন শক্তির বৃদ্ধি ঘটায়। সচলতা বজায় রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম হাড়ের গঠনকে শক্তিশালী গড়ে তোলে। সমন্বিত অবস্থার উন্নতি ঘটায়। রোগ প্রতিরোধে ইমিউন সিসটেমের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
কখন ব্যায়াম করবেন?
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করা যেতে পারে। এ ছাড়া সন্ধ্যার আগে বিকেলটাও ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীরের ঘাম ঝরে, তাই নরম আবহাওয়াতেই ব্যায়াম করা ভালো। ব্যস্ততার জন্য সারা দিন সময় করে উঠতে পারেন না, তারা রাতে ব্যায়াম করেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে দুপুরবেলা বা বেশি গরমে ব্যায়াম করলে সহজেই ক্লান্ত মনে হতে পারে। তাই এ সময়ে ব্যায়াম না করাই ভালো।
যা খাবেন:
ব্যায়ামের সময় অনেক বেশি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। হালকা খাবার যেমন, একটা কলা বা বিস্কুট খেয়ে ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে। সকালে ব্যায়াম করতে গিয়ে অনেকে ব্যায়াম শেষে ভরপেট খেয়ে বাসায় ফেরেন। এতে ব্যায়ামের কোনো উপকারিতা থাকে না। যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা বেশি দিনের অবসর কাটালে বা কোথাও ঘুরতে গেলে খাবারের দিকে নজর রাখা উচিত। ঘুরতে গিয়ে বেশি দিন থাকার পরিকল্পনা করলে সুযোগ থাকলে টুকটাক ব্যায়াম করা যেতে পারে। ব্যায়াম করার আগে বা পরপরই বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া ঠিক নয়। ব্যায়ামের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি খেতে পারেন। খাবারের মেন্যু থেকে যতটা সম্ভব মিষ্টি, কোমলপানীয়, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার বাদ রাখাই ভালো। কারণ, এসব খাবার খেলে আপনার ব্যায়াম করা বৃথা হয়ে পড়বে।
ভালো ব্যায়াম দৌড়ানো:
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে দৌড়ানোর বিশেষ কিছু উপকারিতার বিষয় উল্লেখ করা হয়। ব্যায়ামাগারে ব্যয়াম করতে হলে প্রথম শর্ত হল সদস্য হওয়া। ভালো এবং আরামদায়ক এক জোড়া জুতা পায়ে দিয়ে নিয়ম করে দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুললেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।
নোট: মানানসই বিশ্রাম ছাড়া অতিরিক্ত ব্যায়াম না করাই ভালো। অসুস্থ থাকলে ব্যায়াম করার দরকার নেই। বিশেষ করে গর্ভকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যায়াম করা উচিত নয়।
Discussion about this post