শিক্ষা ডেস্ক : রুম সংস্কারের কারণ দর্শিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের (জাবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের অর্ধশতাধিক ছাত্রীকে অন্য হলে পাঠানোর এক মাস পেরিয়ে গেলেও রুম সংস্কার হয়নি।
অপরদিকে অন্য যে হলে ছাত্রীদেরকে স্থানান্তর করা হয়েছে সে হলেও তাদের আসন বরাদ্দ না হওয়ায় প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের। আর যাদের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
হল প্রশাসন বলছে, তাদের হলে ওঠার প্রক্রিয়া আরো দুই-তিন বছর দীর্ঘ হতে পারে। জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল প্রশাসন এক নোটিশে হলের ১১৪ ও ১১৫ নং রুম সংস্কারের জন্য ঐ দুটি রুমে থাকা ৪৭তম ব্যাচের ৫৪ জন ছাত্রীকে রুম ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে অন্য হলে পাঠানো হয়।
‘সাময়িক সময়ের’ জন্য তাদেরকে শেখ হাসিনা হল (২৯ জন), জাহানারা ইমাম হল (২০ জন) এবং বেগম সুফিয়া কামাল হলে (৫ জন) স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু এসব হলে তাদের জন্য কোনো রুম বরাদ্দ না দেয়ায় তাদেরকে সদ্য ভর্তি হওয়া ৪৮ ব্যাচের সঙ্গে গণরুমে গাদাগাদি করে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুম খালি করার পর এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও রুমের সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। এ ছাড়া কবে নাগাদ সংস্কার শুরু হবে সেটাও অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ।
দুর্ভোগের বিষয়ে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, আমাদের হলের আসন সম্পর্কে হল প্রভোষ্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাই নি। আমরা নতুন হলের প্রভোস্টদের কাছে রুম চাইলে তারা রুম দিতে অস্বীকার করেন।
প্রভোস্ট আমাদেরকে জানান ‘তোমরা আমাদের হলের গেস্ট, তোমাদের জন্য আমরা কোনো রুম দিতে পারবো না। তোমাদেরকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গণরুমে থাকতে হবে’।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাহিদ হক বলেন, ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলটি অনেক পুরাতন। এজন্য আমরা ১১৪ এবং ১১৫ নাম্বার রুম দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসকে বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও তারা কাজটি শুরু করছে না।
এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘ নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে এমনিতেই সিট সংকট অধিকন্তু দুটি রুম সংস্কারের জন্য একমাসের বেশি ফেলে রাখা হয়েছে, এটা দুঃখজনক। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা দরকার।
Discussion about this post