কারকনিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে ২০১০ সালের আলোচিত লিটন হত্যা মামলায় ৩ আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত (জেলা ও দায়রা) জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এ আদেশ দেন। ১১ জনের সাক্ষ্য প্রমানের ভিওিতে এ রায় কার্যকর করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রফিক, হাবিব হাবলা ও পলাতক আসামি মো. শরিফ মিয়া। রায় ঘোষনার সময় মো. রফিক ও হাবিব হাবলা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অপর আসামি শরিফ মিয়া পলাতক রয়েছেন।
রায় ঘোষণার পর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকের স্ত্রী রুমা আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি এ রায় মানি না। আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ বিনা কারণে দশ বছর ধরে জেলে রয়েছে আমি এখন সন্তানদের নিয়ে কি করবো। তিনি আরো বলেন, আমরা ন্যায় বিচারের আশায় মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি আমার স্বামী ন্যায় বিচার পাবে।
রায় ঘোষণার পর পরই আসামি হাবিব ও রফিককে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় তার আত্বীয় স্বজনরা ন্যায় বিচারের দাবি জানায়।
নারায়নগঞ্জ লিটন হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কে এম ফজলুর রহমান বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি। আদালত সকল দিক বিবেচনা করে একটি চুড়ান্ত রায় প্রকাশ করেছে। এ ছাড়াও মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষ এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় পূর্ব শত্রু তার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে রফিক, হাবিব ও শরিফ সদর থানার নিতাইগঞ্জ মন্দিরের সামনে থেকে লিটনকে ডেকে নিয়ে নিতাইগঞ্জ খাল ঘাটের পরিত্যক্ত একটি বিল্ডিং এর ছাদে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লিটনকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত লিটনের ভাই সিরাজ মিয়া তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে আসামিদের গ্রেফতার করা হলে আসামি রফিক ও হাবলা ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
Discussion about this post