স্টাফ রিপোর্টার : নাসিং শিক্ষা ধ্বংশের মাধ্যমে জনগণকে প্রকৃত নার্সিং সেবা থেকে বঞ্চিত করার পায়তারা রুখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হস্তক্ষেপ কামনা করে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে তিন দফা দাবিতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানব বন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী নাদিয়া জাহান, খুরশিদা খাতুন, রুমানা আক্তার, রাশেদা আক্তার, আবুল কালাম প্রমুখ। এসময় টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, আমরা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডেও অধিনে না থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনায়ের অধিনে থাকতে চাই। কারিগারি শিক্ষাবোর্ডেও আওতাধীন যে সমস্ত নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আছে তারা যেন কোন ভাবেই নিববন্ধন না পায়। তাদের নিববন্ধন পাওয়ার কোন বৈধ আইন নাই। রোগির সেবা করতে নার্সের প্রয়োজন হয়। কোন টেকনোলজির প্রয়োজন হয় না। তাই আমাদের দাবি গুলো মানতে হবে। তা না হলে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
তিন দফা দাবি সমূহ হচ্ছে বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল এ্যাক্ট ১৯৩৪ পরবর্তীতে পাকিস্থান নার্সিং কাউন্সিল এ্যাক্ট ১৯৫২, পরবর্তীতে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সি অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩, ও বর্তমান বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ নার্সিং সংক্রান্ত কোর্স কারিকুলামের একক ক্ষমতা প্রদান করা হলেও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড আইন-২০১৮ অনুযায়ি চতুরতার আশ্রয় নিয়ে ভিন্ন নামের পাশে (ব্রেকেট)/ স্পø্যাশ ব্যবহার করে পেশেন্ট কেয়ার/নার্সিং টেকনোলজি) শিক্ষা ও পরিচালনার সাংঘর্ষিক ও বিতর্কিত আইন বাতিল করতে হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধিনস্থ ও বাংলাদেশ নার্সিং মিডওয়াইফারি কাউন্সি নিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্নকারি ব্যতিত কোন শিক্ষার্থীকে এই নিববন্ধন দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চতুরতায় পরিচালিত এসব কোর্স অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
Discussion about this post