কারকনিউজ ডেস্ক : সখীপুর-ভালুকা উপজেলার সংযোগ সড়কের কীর্ত্তণখোলা-ধুমখালি এলাকায় স্টিলের তৈরি ব্রিজের কয়েকটি পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুই মাস ধরে এ অবস্থা বিদ্যমান। এ অবস্থায় সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন চালক-শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ব্রিজের পাটাতন ভেঙ্গে যওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও ভ্যানগাড়ির মতো ছোট যানবাহন চলাচল করছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচলকারীরা। সব ধরণের ভারি যানবাহন বিকল্প রাস্তায় চলাচল করছে। এতে সময় ও অর্থ খরচ বেশি হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে ময়মনসিংহ ও ঢাকায় যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের মানুষ এ সড়কে বেশি চলাচল করে থাকে।
ঝুঁকি নিয়ে চলাচলকারী ইজিবাইক চালক মোরশেদ আলম বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে লোকজন আনা নেওয়া করে থাকি। বিকল্প রাস্তা না থাকায় পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী টানছি। ভাঙ্গার ওপর দিয়া গেলে বুকডা ধড়ফড় করে।’
স্থানীয়রা জানায়, ভাঙ্গা ব্রিজের পাশে কোন প্রকার বিপজ্জনক সংকেত বা লাল নিশানা না থাকায় যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। রাতে ভাঙ্গা ব্রিজের আশপাশে বাতি বা আলোর ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে ব্রিজের ভাঙ্গা পাটাতনের ভেতর পড়ে যান।
এলাকার মোশারফ হোসেন, নাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মৌসুমী শাক-সবজিসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি এ সড়কে পরিবহনে অবর্ণীয় দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষকরা। এ সড়কে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ, অসংখ্য যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ী চলাচল করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুছ বলেন, ‘প্রতিবছর ওই বেইলি ব্রিজের পাটাতন একবার করে ভেঙ্গে পড়ে। প্রতিবছর মেরামত করা হয়। ২৯ মিটারের ওই ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য এলজিইডি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে প্রাথমিকভাবে সংস্কার কাজ করা হবে।’
Discussion about this post