কারকনিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেমিক্যাল মালিকদের গোডাউন না সরানো দুঃখজনক। পুরান ঢাকায় আর কোনো কেমিক্যাল ব্যবসা থাকবে না। এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শনিবার ( ২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে তিনি সেখানে পৌঁছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা যা আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে। নতুন ভবন নির্মাণে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকতে হবে। হতাহতদের জন্য শোক দিবস ঘোষণা করা হবে।
হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি শোক দিবস ঘোষণা করবো। আজ ছুটির দিন আগামীকাল রোববার অফিস খুললে কেবিনেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে শোকের ঘোষণা দেয়া হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ধৈর্য্য ধরার কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট বসিয়েও কারখানাগুলো অপসারণ করেছি। কিন্তু সেগুলো আবার বসেছে। এগুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। এ ধরনের আগুন নির্বাপণে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে উৎসুক জনতা। এসব ঘটনায় সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এই ঘনবসতির এলাকায় যেন আর কেমিক্যাল না থাকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যে প্রজেক্ট আমরা হাতে নিয়েছিলাম তা বাস্তবায়ন করা হবে। আর অলিগলি যে সরু রাস্তা তা আমাদের নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে ফায়ার সার্ভিসের লোক যেতে পারে। ঢাকায় নানান ধরনের পুকুর ও খাল ছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো সে খালগুলোতে বসতবাড়ি করা হয়েছে। আর জায়গার জন্য সবার আগে পুকুরগুলোকেও বন্ধ করে। দুর্ঘটনায় পানি পাওয়া খুবই কষ্টকর। তাই সকলের কাছে অনুরোধ পুকুরগুলো যেন আর বন্ধ করা না হয়। এই ধরনের আগুন লাগলে পানির অভাব যেন না থাকে। দেশবাসী যেন দোয়া করেন, এই ধরনের দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে।
তিনি আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নেভানোর জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ বিঘ্নিত করার জন্য সংবাদকর্মীদের প্রতি দোষারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংবাদ কর্মীদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আগুন নেভানো ব্যাহত হয়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসায় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিশ্চিত করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়নে আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Discussion about this post