সখীপুর(টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের সখীপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) আমির হোসেন চুলে রঙ করা ও বিশেষ স্টাইলে চুল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় স্কুল-কলেজগামী ছাত্র ও উঠতি বয়সী যুবকেরা রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ আগের দেওয়া এ নিষেধাজ্ঞায় উপজেলার সর্বত্রই মানুষের মাঝে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। ওসি’র এমন উদ্যোগকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শীল সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের থানায় ডেকে এনে ছাত্র-যুবকদের বখাটে স্টাইলে চুল কাটা এবং চুলে রঙ না করার জন্য নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বখাটে স্টাইলে চুল রাখা স্কুল-কলেজগামী ছাত্র ও উঠতি বয়সী যুবকদের থানায় ডেকে এনে সতর্ক করার পর তারা ভদ্র স্টাইলে চুল কেটে যথারীতি থানায় দেখিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি সুরেশ বিশ্বাস জানান, ‘ছাত্র ও উঠতি বয়সের যুবকদের স্টাইল করে চুল কাটা ও চুলে রঙ না করার বিষয়ে থানার ওসি সাহেব আমাদের সতর্ক করেছেন। আমরাও ওসি’র সঙ্গে একমত প্রকাশ করে স্টাইল করে চুল কাটা বন্ধ করে দিয়েছি।’
সখীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ‘ভালো ছেলেরা হেয়ার স্টাইল করে না। সখীপুরে বখাটে যুবকেরা বিভিন্ন স্টাইলে চুল রেখে এবং চুলে রঙ করে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। স্টাইল ও রঙ করা চুলের ভেলকিতে নানা কিছু ইঙ্গিত বহন করে। ছেলেদের চুলের ছাঁটে ধাঁচ, এলোমেলো ও ঝুঁটি বাঁধা এবং গুচ্ছ গুচ্ছ একদমই শোভনীয় লক্ষণ নয়। এ উপজেলার মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক এবং স্কুল-কলেজের মেয়েদের উত্যক্তকারীদের অধিকাংশই হেয়ার স্টাইল করা। আমরা বিভিন্ন বাজারের বণিক সমিতির নেতাদের বলে দিয়েছি তাদের বাজারের সেলুনের (নাপিত) মালিকদের বখাটে স্টাইলে চুল না কাটতে। ছাত্রদের শোভন পোশাক ও ভদ্র চুলের ছাঁঁট দিতে এ বিষয়ে ছাত্র ও অভিভাবকদের সচেতনও করা হচ্ছে।’
Discussion about this post