কারকনিউজ ডেস্ক : মণিরামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নূরজাহান (৬২) নামে এক বৃদ্ধা খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামে ভাই আব্দুর রহিমের বাড়িতে তিনি খুন হন।
আব্দুর রহিম ঘরের দরজা লাগিয়ে ধারালো অন্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ঘাতক আব্দুর রহিমকে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন। নিহত নূরজাহান উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামের কারিগর পাড়ার আলাউদ্দিনের স্ত্রী। আর ঘাতক আব্দুর রহিম উপজেলার গালদা গ্রামের মৃত এনায়েত আলীর ছেলে। প্রায় দশ বছর ধরে তিনি পৌর এলাকার বিজয়রামপুর গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিশ বছর আগে পিতা এনায়েত আলীর কাছ থেকে প্রায় দুই বিঘা জমি কৌশলে লিখে নেন আব্দুর রহিম। পরে আবার সেই জমি পিতার কাছ থেকে রেজিস্ট্রি করে নেন বোন নূরজাহান। এই নিয়ে ভাই-বোনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে ভাই আব্দুর রহিমরে বাড়িতে বেড়াতে আসেন নূরজাহান। তখন কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে নূরজাহানকে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধারালো অস্ত্র (গাছি দা) দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে আব্দুর রহিম।
এসময় নূরজাহানের আর্ত-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল চারটার দিকে মৃত্যু হয় নূরজাহানের।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, বিকেল চারটার দিকে নূরজাহানকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় নূরজাহানের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাম পা, দুই বাহুসহ মাথায় কোপের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম এনামুল হক বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নূরজাহান নামে বৃদ্ধাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ভাই আব্দুর রহিম। পুলিশ ঘাতক আব্দুর রহিমকে আটক করেছে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি (গাছি দা) উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতক রহিম একজন দুর্ধর্ষ পেশাধারী ডাকাত ও দস্যু। সে ইতিপূর্বে তার পিতা ও শ্বশুরসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
Discussion about this post