কারকনিউজ ডেস্ক : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার থানা কোয়াটার থেকে শিপ্রা রানী দাস (২২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি মাদকাসক্ত ও অর্থলোভী স্বামী পুলিশ সদস্য রাজিব দে’র কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিপ্রা রানী দাস কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বারের পঞ্চনগর এলাকার মৃত অনিল দাসের মেয়ে। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিপ্রা ছোট ছিল।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, থানা কোয়াটারের ওই কক্ষে শিপ্রা রানীসহ পাঁচজন নারী পুলিশ থাকতো, যাদের মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে অপর তিনজন খাবার আনার জন্য কক্ষের বাহিরে গেলে শিপ্রা সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে আমরা নামাজ শেষ করে ফিরে আসলে অন্য নারী সদস্যরা শিপ্রা দরজা বন্ধ করে ভিতরে থাকার বিষয়টি জানালে দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামীর সাথে পারিবারিক কোন বিষয়ে বিরোধের জেরে সে আত্মহত্যা করেছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে নিহত শিপ্রা রানীর মা সরনা রানী দাস বলেন, শিপ্রার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যায়। ২০১৪ সালে শিপ্রা পুলিশে যোগদান করে। দেবীদ্বার এলাকার রাজিবের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় রাজিবকে নগদ এক লাখ টাকা চার ভরি স্বর্ণ ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়। রাজিব বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্মরত আছেন।তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজিব মাদকাসক্ত। সে পুলিশে চাকরি করলেও বিভিন্ন সময় টাকার জন্য শিপ্রাকে মারধর করতো। তিনি অন্যের বাড়ীতে কাজ
করে নিজের সংসার চালান তাই তার পক্ষে রাজিবকে কোনো টাকা দেওয়া সম্ভব হতোনা। শিপ্রা চরজব্বার থানায় বদলি হয়ে যাওয়ার পর রাজিবের ভয়ে গত ৪মাস ধরে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে পারছেনা।
Discussion about this post