কারকনিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব ১১) এর সদস্যরা। এসময় মানব পাচারের শিকার ২২ বছর বয়সী এক যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শেফালী বেগম (৫০) ও মামুন (৩৫)।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দিন চৌধুরী (পিপিএম)।
র্যাব জানায়, গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে বিশেষ অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে শেফালী বেগম (৫০) নামের এক মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। এই সময় তার বাসা থেকে মানব পাচারের শিকার ২২ বছর বয়সী এক যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।
পরে আটককৃত শেফালী বেগমের ও ভিকটিমের জবানবন্দী অনুযায়ী কদমতলী এলাকা হতে মামুন (৩৫) নামের মানব পাচারকারী চক্রের আরেক সদস্যকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, শেফালী বেগম দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ফ্যামিলি বাসার ছদ্মবেশে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা করে আসছে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে যুবতী মেয়েদের অধিক বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারিত করে নিয়ে এসে জিম্মি করে জোরপূর্বক অসামাজিক (পতিতাবৃত্তি) কাজে ব্যবহার করত। তাছাড়া তার অধীনে অনেক যৌনকর্মী ও খদ্দের রয়েছে।
আটককৃত মামুন তার একজন নিয়মিত খদ্দের। পরিচয়ের সূত্রে মামুন উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে অধিক বেতনে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। প্রথমে ভিকটিমকে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে রাখে। মামুন হোটেল কক্ষে জোরপূর্বক ভিকটিমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
পরে চাকুরী দেয়ার নামে প্রতারণা করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিকটিমকে শেফালি বেগমের হাতে তুলে দেয়। শেফালি বেগম ভিকটিমকে তার বাসায় জিম্মি ও মারধর করে নিয়মিত খদ্দেরদের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করতো।
আটককৃত শেফালি বেগম ও মামুনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
Discussion about this post