দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য। যা দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। শিগগিরই এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দেশটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন- এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়,নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ইতিমধ্যে তিন লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম বিসিসি জানায়, শুষ্ক আবহাওয়া ও ঝড়ো বাতাসের কারণে বনাঞ্চল থেকে সৃষ্ট দাবানল দ্রুত দেশটির প্যারাডাইস শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। দাবানলে হাসপাতাল ও কয়েকশ বাড়ি পুড়ে গেছে। ঘর ছাড়া হয়েছে হাজারো মানুষ।
দাবানলে নিহতদের বেশীরভাগই প্যারাডাইস শহরের বাসিন্দা বলে জানানো হয়।
দেশটির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের প্রধান কেন পিমলোট বলেছেন, এটি খুবই সাংঘাতিক, গুরুতর ও বিপর্যয়কর ঘটনা।’ এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
পিমলোট বলেছেন, আগুন নেভাতে ৭০টি হেলিকপ্টার, ৩০টি এয়ার ট্যাংকার ও ৮ হাজার অগ্নিনির্বাপণকর্মী নিয়োজিত রয়েছে। তবে আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে, তা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সান্তা রোজা শহরের পুরোটা আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। শহরটির ১ লাখ ৭৫ হাজার লোক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরো বেশ কয়েকটি শহরের সব লোককে নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় বনবিভাগের দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।
এই ঘটনার পর শনিবার (১০ নভেম্বর) ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, বন বিভাগের দূর্বলতা ব্যতীত বনে এমন মারাত্মক দাহের কোনো কারণ নেই। বন ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। অথচ এখানে জনজীবনে এমন ক্ষতি হলো। এর প্রতিকার হচ্ছে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়া।
Discussion about this post