কারকনিউজ ডেস্ক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়। ওনার কথার জবাব দেয়ার ইচ্ছা আমার নেই।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, মিডনাইট ইলেকশনের সরকারের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টা হতে চলেছেন। সুতরাং খামোখা আওয়ামী লীগের থেকে তার লাভ কী, বরং ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বেগম জিয়ার এক বছর কারাবাস, এটা আদালতের দণ্ড উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, কাজেই এখানে সরকারের কিছুই করণীয় নেই। এটা আদালতে বিষয়, লিগ্যাল ম্যাটার।
তিনি বলেন, আইনিভাবে বা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারা বিএনপির দায়। তাকে (খালেদা জিয়া) দণ্ড দিয়েছেন আদালত, কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাকে মুক্তিও দিতে পারেন আদালত। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলা হয়েছে। এ মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে দোষারোপ করা একেবারে অসৎ। আওয়ামী লীগ সরকার কোনোভাবেই এখানে জড়িত নয়।
সরকারের হস্তক্ষেপে বেগম জিয়ার মুক্তিতে বাঁধা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিএনপি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুদ্ধিজীবীদের ভাষায় বিএনপি এখন হাঁটু ভাঙা দল। নির্বাচনে পরাজয়ের পর তারা যেভাবে প্রলাপ বকছে তাতে মনে হয় ওনাদের মাথা বিগড়ে গেছে।
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন কোনো ইস্যুতে আন্দোলনের ডাক দিলে জনগণের কোনো সাড়া পাবে না। কারণ দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের জন্য দেশে বিদেশে তারা ইমেজ সংকটে রয়েছে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের এক জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষরা যদি জোট করতে চায়, তখন আমাদেরও একটা জোটের কথা ভাবতে হবে। তাদের সমীকরণটা যেভাবে হবে, সেই মেরুকরণ অনুযায়ী আমরা চিন্তা ভাবনা করবো। দেখতে হবে, কারা কিভাবে পোলারাইজেশন করছে, এলায়েন্স করছে, সে অনুযায়ী আমাদের চিন্তভাবনা আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চারজন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছি, তারা ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অবজার্ভ করছে। আমরা এই নির্বাচনকে সিরিয়াসলি নিয়েছি, গণতান্ত্রিক ভাবে জয়লাভ করবো বলে আশা করছি। জাতীয় রাজনীতিতে যেভাবে পোলারাইজেশন হয় তার প্রভাবটা ছাত্র রাজনীতিতেও পড়ে। যাদের সামর্থ্য নেই, তারা হয়ত এতো বেশী সুবিধা নিতে পারে না। আর যাদের সামর্থ্য আছে নির্বাচন করার মতো পোলারাইজেশনটা তারা করবে, এবং তারা চেষ্টা করবে এখান থেকে একটা ফায়দা তোলা যায় কি না?
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত চারদিনে দলীয় ফরম বিক্রি ও জমাদানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজলা চেয়ারম্যান পদে ২০৭৬ টি এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৪৮৫ টি ফরম বিক্রি হয়েছে।
এসময় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post