সখীপুর(টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হিড়িক পড়েছে। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১ ডজন প্রার্থী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যদিকে বিএনপি ও কৃষক শ্রমিক জনতালীগের পক্ষে কাউকে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি। নেতাকর্মীদের নামে একাধিক মামলা থাকায় অনেকটা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ওই দুটিদল। তবে কেন্দ্রীয় ভাবে সিদ্ধান্ত আসলে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে দলের বেশ কয়েকজন নেতা। এদিকে জাতীয় পার্টির কোন নেতাকেও প্রচারণায় দেখা যায়নি।
জানা যায়, সখীপুর উপজেলা পরিষদ নিরর্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান স্থানীয় আ.লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, বোয়ালী কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক রফিক-ই-রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান শরীফ পান্না, ডিএম শরিফুল ইসলাম শফি, গোলাম কিবরিয়া বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান, হাতিবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, কালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, অধ্যক্ষ রেনুবর রহমান ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন দলীয় সর্মথন পেতে মাঠে রয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ধরে দলীয় পেতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। করে যাচ্ছেন জোর লবিং। সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে তৃণমূলের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে আ.লীগ ৩ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠাবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদার বলেন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড়ের ২৪৭ জন নেতার মতামত নিয়ে প্রার্থী তালিকা করা হবে। ৩ জনের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে জেলা-উপজেলাসহ তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে জোর লবিং চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এ বিষয়ে জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, স্বচ্ছতা ও বির্তক এড়াতে এবং সঠিক প্রার্থী নির্ণয়ে তৃণমূলের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ৩ জনের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। মনোনয়ন না পেলে আ.লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
এ দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি ও কৃষক শ্রমিক জনতালীগের নেতাদের প্রচারণায় দেখা যায়নি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের নামে একাধিক মামলা থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে দলীয় কার্যক্রম। দলীয় কার্যলয়ও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত হলে উপজেলা বিএনপি‘র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মোহাম্মদ হাবিব, উপজেলা বিএনপি‘র সভাপতি শাজাহান সাজু ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সবুর রেজা নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন চাবেন বলে জানা গেছে।
শেখ মোহাম্মদ হাবিব বলেন, কেন্দ্রীয় ভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাব।
Discussion about this post