বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক : ‘সাইবার বুলিজম’ একটি সাইবার ক্রাইম পর্যায়ের অপরাধ। বুলিং বলতে বোঝায় দুইজন ব্যক্তির মধ্যে তর্ক বা কথা–কাটাকাটির জের ধরে একজন ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্টভাবে সবার সামনে দোষারোপ বা খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা। আবার একজনের ছবি বা ভিডিও বিকৃতি করে অনলাইনে তুলে ধরাও বুলিংয়ের মধ্যে পড়ে।
সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে যা করবেন:
১। নিজেকে বোঝাতে হবে এখানে আপনার দোষ নেই। কেউ যদি খুব খারাপভাবে আক্রমণ করে তাহলে এই নিষ্ঠুর আচরণের জন্য আপনি নিজেকে দোষী ভেবে কষ্ট পাবেন না।
২। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে কখনোই আপনি সাড়া দেবেন না এবং পাল্টা আক্রমণ করবেন না।
৩। আপনাকে বুলিং করা হয়েছে বা আপনি আক্রমণের শিকার হয়েছেন, এর সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করবেন।
৪। প্রাথমিকভাবে যে বা যার দ্বারা বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন এবং আপনার সপক্ষে যুক্তিগুলো গুছিয়ে জানাতে পারেন। আপনি না পারলে আপনার বন্ধু বা আত্মীয়কেও এই আলোচনাটুকু করতে অনুরোধ করতে পারেন।
৫। বুলিংয়ের শিকার যেহেতু নারীরা বেশি হন এবং তারা তাদের সমস্যাগুলো এখনো পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাই বুলিংয়ের শিকার হলে অবশ্যই একজন বন্ধু, আত্মীয়, ভাই বা বোনকে জানাতে হবে।
৬। সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেই ব্লকের অপশন থাকে। প্রাথমিক বুলিং হলে বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অসংলগ্ন কথা বললে তাকে ব্লক করে দিতে পারেন।
৭। যদি বুলিং থেকে সেটি বড় ধরনের হুমকিতে পরিণত হয়, যা শারীরিক আক্রমণ, জীবননাশের হুমকি বা বড় ধরনের মানসম্মানহানির কারণ হতে পারে, সেই ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে কাছের থানার সাহায্য নিতে হবে।
সাইবার বুলিং- এ অভিভাবকদের করণীয়
১। নিজের সন্তানদের প্রতি আস্থা হারাবেন না। আপনারাই তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসের আশ্রয়।
২ । সন্তানের প্রতি মনোযোগী হন, তাদের কথাকে গুরুত্ব দিন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
৩। কোনও ঘটনা শুনেই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। ইতিবাচক সমাধানে আসুন, পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও আত্মসম্মান বজায় রাখুন।
৪। যেকোনও ধরনের আক্রমণ বা বুলিংয়ের শিকার হলে জরুরি পুলিশ সেবার জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯–এ কল করতে পারবেন। এটি বিনা মূল্যের।
Discussion about this post