প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোটের তারিখ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছে। এরপর আর পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, নানা দিক বিবেচনা করে নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নাই। সংসদ ও সরকার বহাল থেকে এবার নির্বাচন হওয়ায় অন্যবারের থেকে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কখনও তত্বাবধায়ক সরকার, কখনও সেনাবাহিনী এবং একক দলের নির্বাচন হয়। তাই এবার ভোটে রাজনৈতিক চাপ বেশি।
কেএম নূরুল হুদা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, এবার নতুন আইনে এবং ভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে। তাই জাতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এছাড়া মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের থেকে চাপ আসলে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
দায়িত্ব পালনে কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবেন না, কমিশনের আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করবেন, অতি উৎসাহী আচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি চালক হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফল করতে হলে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সেই গাড়ির ফুয়েল হিসেবে কাজ করতে হবে। তাই আপনাদের নিরপেক্ষ থেকে এই দায়িত্ব পালন করবেন।
দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে সোমবার (১২ নভেম্বর) ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের পুনঃতফসিল দেয় ইসি। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৮ নভেম্বর, বাছাই ২ ডিসেম্বর ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর।
নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য বিভাগীয় কমিশনার এবং অন্য জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Discussion about this post