কারকনিউজ ডেস্ক : ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং পিপিএম’ পদক পাচ্ছেন টাঙ্গাইলের পুলিশের দুইজন সদস্য।
অসীম সাহসিকতা, সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য সুপার সঞ্জিত কুমার রায় পাচ্ছেন বিপিএম পদক। একই সাথে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১১টি ক্লুলেস মামলা নিস্পত্তি করার জন্য টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-দক্ষিণ) এর কনস্টেবল শামসুজ্জামানও পিপিএম পদক পাচ্ছেন।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিঅআইজি (আইএন্ডএসএ) মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক ই-মেইল বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, আমি টাঙ্গাইলের যোগদান করার পর থেকে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমি যোগদানের পর অনেক মামলার রহস্য উদঘাটন এবং জটিল কিছু কাজ করেছি। বর্তমানে আমার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুবই ভালো রয়েছে। আমাকে বিপিএম পদক ভূষিত করায় আমি খুবই আনন্দিত।
এবারই প্রথম পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম পদক পাচ্ছেন। অপরদিকে কনস্টেবল শামসুজ্জামানও এবারই প্রথম পিপিএম পদক পাচ্ছেন।
কনস্টেবল শামসুজ্জামান এই পদক পাওয়ায় খুবই আনন্দিত এবং সামনে আরো ভালো কিছু করবেন বলে প্রকাশ করেন।
এই পদক পাওয়ায় টাঙ্গাইলে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বিভিন্ন থানার ওসিসহ পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ও কনস্টেবল শামসুজ্জামানকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সঞ্জিত কুমার রায় গতবছরের ১৩ মার্চ টাঙ্গাইলে যোগদান করেন। টাঙ্গাইলে যোগদানের পর থেকেই তিনি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইলের সাধারণ জনগণের মধ্যে অতি দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এর আগে সঞ্জিত কুমার রায় বান্দরবানের পুলিশ সুপার ছিলেন। তিনি এই জেলার ৩৬তম পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করছেন।
Discussion about this post