স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৩তম ম্যাচে দিনের প্রথম খেলায় খুলনা টাইটানস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স মুখোমুখি হয়।কুমিল্লার দেওয়া বড়ো রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে মাঠে নেমে ১৮.৫ ওভারে মাত্র ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস।আর এত ৮০ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভিক্টোরিয়ান্সরা।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেলা ১.৩০মিনিটে ম্যাচটি শুরু হয়। সরাসরি সম্প্রচার করছে গাজী টিভি ও মাছরাঙা টিভি চ্যানেল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২৩৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শহীদ আফ্রিদি ও ওহাব রিয়াজের বোলিং তোপে ১৫৭ রানেই থেমে যায় খুলনার ইনিংস।শহীদ আফ্রিদি ও ওহাব রিয়াজ ৩ করে উইকেট তুলে নেন।
এর আগে, টস জিতে আগে বোলিং নেন খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফলে প্রথমে ব্যাটিং করতে মাঠে নামে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শুরুটা হয় ভালোই শুরু করে কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ রান তোলেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। ২৫ রান করা তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। পরের বলেই আনামুল হককে তুলে নেন তিনি।এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি বিজয়।
সেই ধাক্কাটা বুজতে দেননি এভিন লুইস। ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে খেলার হাল ধরেন তিনি। প্রথমে ধীর চললেও ক্রিজে সেট হওয়া মাত্রই ব্যাট ঘোরাতে থাকেন তারা। রীতিমতো প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে কচুকাটা করেন খুলনার বোলারদের।ফিফটি তুলে নেন লুইস, হাফসেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান ইমরুলও। তাতে দুরন্ত গতিতে ছোটে কুমিল্লা। তবে অতিরিক্ত চড়াও হওয়ার খেসারত গুনে শরিফুল ইসলামের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরত আসার আগে ২১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন ইমরুল। পরে ক্রিজে এসে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি থিসারা পেরেরা। কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের বলে উইজকে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি। এর রেশ না কাটতেই ক্যারিবীয় পেসারের বলির পাঁঠা হন বুমবুম শহীদ আফ্রিদি।
এরপর ইমরুল কায়েসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ক্যারিবীয় তারকা এভিন লুইস। রিয়াদের করা ১২তম ওভার থেকে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৭ রান নিয়ে ঝড় শুরু করেন তিনি। তার পরের ওভারেও ১৭ রান। এরপর ১৪তম ওভারে মোহাম্মদ সাদ্দামকে পিটিয়ে স্বাগরিকায় ছক্কা বৃষ্টি নামান এই ওপেনার। চারটি বিশাল ছক্কায় সেই ওভার থেকে আসে ২৮ রান। প্রথম ১১ ওভারে ৮৩ রান নেয়া কুমিল্লা পরের ৪ ওভারেই নেয় ৮৪ রান।
মাঝে ২১ বলে ৩৯ রানে ইনিংস খেলে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। এরপর শামসুর রহমানকে নিয়ে ভিক্টোরিয়ান্সদের রানের চাকা সচল রাখেন লুইস। তবে শামসুর রহমানের মারমুখী খেলায় সেঞ্চুরি পেতে দেরি হয় লুইসের। ইনিংসের শেষ ওভারে স্ট্রাইক পেয়ে নিজের অপেক্ষা শেষ করেন এই ওপেনার। সাদ্দাম হোসেনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন এভিন লুইস। ইনিংস শেষে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪৯ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ ছক্কা এবং ৫টি চার দিয়ে। বিপিএলের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। লুইসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতেই ৫ উইকেটে বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৭ রানের স্কোর গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
খুলনা টাইটানসের হয়ে সমান দুইটি করে উইকেট সংগ্রহ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ব্র্যাথওয়েট। বাকি একটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।
Discussion about this post