ক্রীড়া ডেস্ক : খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ঢাকায় প্রথম মুখোমুখিতে হেরেছিল সিলেট সিক্সার্স। চট্টগ্রামে সেই হারের প্রতিশোধ নিল সিলেট। এ হারে বিপিএল থেকে সবার আগে বিদাল নিল খুলনা টাইটান্স।
দশম ম্যাচে এটি খুলনার অষ্টম হার। মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছে তারা। আর খুলনাকে হারিয়ে সুপার ফোরের লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান আরেকটু জোড়ালো করল সিলেট। দশ ম্যাচে এটি সিলেটের চতুর্থ জয়।
আগে ব্যাটিং করে চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান তোলে সিলেট। জবাবে খুলনার ইনিংস থেমে যায় ১৩৭ রানে। ৫৮ রানের বিশাল পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল গত দুই আসরে সুপার ফোরে খেলা খুলনা।
সিলেটের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটসমন্যরা। আগের দিন রাজশাহীর বিপক্ষে ১৮০ করা সিলেট আজ করল ১৯৫ রান। স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে দুইশর কাছাকাছি রান তোলে সিলেট। শুরুতে বরাবরের মতোই ঝড় তোলেন লিটন। ২২ বলে করেন ৩৪ রান। তার নতুন সঙ্গী আফিফ হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত। ৩৭ বলে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তোলেন ৪৯ রান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রান দূরে থাকতে তাইজুলের বলে আউট হন আফিফ।
এরপর সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটে বিশাল পুঁজি পায় সিলেট। দুজন পঞ্চম উইকেটে তোলে ৩৯ বলে ৬৯ রান। সেখানেই ম্যাচ হেরে বসে খুলনা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওপেনিং থেকে চারে নামা সাব্বির ২৯ বলে ৪৪ রান করেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। ২১ বলে ৩৯ রান করেন পাকিস্তানের নাওয়াজ।
বল হাতে খুলনার বোলাররা ছিলেন বেহিসেবী। জুনায়েদ একাই ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান। শুভাশিষ রায় বিনা উইকেটে খরচ করেন ৪৯ রান।
ব্যাটিংয়ে ব্রেন্ডন টেলর ও জুনায়েদ ভালো শুরু এনে দিলেও তাদের আউটের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। জুনায়েদকে ২০ রানে ফিলিয়ে খুলনা শিবিরে প্রথম আঘাতটি করেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন জুনায়েদ। ব্রেন্ডন টেলর ৩৪ রানে ফেরেন সীমানায় রয়ের অসাধারণ ক্যাচে।
এরপর খুলনার ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। আরিফুল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন। দলের ছয় ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেনি। ১১ বল আগে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
নাবিল সামাদ ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নেন তাসকিন।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরতে থাকা খুলনার শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস। সিলেট খেলবে রাজশাহী কিংস ও চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে। শেষ চারে যেতে শেষ দুই ম্যাচে জয় পেতেই হবে সিলেটকে।
Discussion about this post