লাইফস্টাইল ডেস্ক: হাইপারপিগমেন্টেশন কিংবা ত্বকের কালচে ভাব দেখা দেওয়া আমাদের দেশের নারী ও পুরুষদের মাঝে অন্যতম কমন একটি ত্বকের সমস্যা।
ত্বকের কিছু অংশে মেলানিন বেশি উৎপন্ন হওয়ায় ত্বকের অন্যান্য অংশের তুলনায় সেই অংশটুকু বেশি কালো হয়ে যায়। রোদের আলো, পরিবেশ দূষণ, অনিয়ম, কেমিক্যালযুক্ত পণ্যের অধিক ব্যবহার ও ত্বকের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা থেকে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে।
সাধারণত এই সমস্যাটির ফলে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। তবে ক্ষেত্র বিশেষে হাইপারপিগমেন্টেশন থেকে ত্বকের ইনফেকশনও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানের সঠিক ব্যবহার দূর করতে পারে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যাটি।
পেঁপে
এই ফলটিতে প্যাপাইন (Papain) নামক এনজাইম রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ। উপকারী এই এনজাইম এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের মরা চামড়া দূর করে। ত্বকের উপরিভাগের মরা ও অকার্যকর চামড়ার পরত উঠে যাওয়ার পর ত্বক ভালোভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে এবং নতুন চামড়া ভালোভাবে পুনর্গঠিত হতে পারে। এতে করে ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যাটি অনেকটাই দূর হয়ে যায়। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এক টুকরো পেঁপে চটকে সরাসরি হাইপারপিগমেন্টেড অংশে ম্যাসাজ করতে হবে।
কাঠবাদাম ও দুধ
হাইপারপিগমেন্টেশন সমস্যাটি দেখা দেয় বাড়তি মেলানিনের উৎপাদনের ফলে। ত্বকের শুষ্কভাব মেলানিনের উৎপাদনকে বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি। ত্বকের শুষ্কতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড। সেক্ষেত্রে কাঠবাদাম সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান কারণ, কাঠবাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত ফ্যাটি অ্যাসিড। ত্বকে কাঠবাদাম ব্যবহারের জন্য এক কাপ দুধে ৫-৬টি কাঠবাদাম সারারাতের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে দুধের সঙ্গে ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদাম বেটে ত্বকের উপর ম্যাসাজ করতে হবে। প্রলেপটি শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
শসা ও লেবুর রস
লেবুর রসে থাকা ব্লিচিং উপাদানের জন্য ত্বকের ব্যবহারে লেবু অন্যতম পরিচিত একটি উপাদান। অন্যদিকে শসাতে থাকে ত্বকে আরাম প্রদানকারী উপাদান। এই দুইটি চমৎকার উপাদানের মিশ্রণ হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে। অর্ধেকটা শসা গ্রেট করে এতে এক চা চামচ লেবুর রস যোগ করে ত্বকে প্রলেপ মাখাতে হবে। ১৫ মিনিট পর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
Discussion about this post