মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি চেষ্টার অভিযোগে গ্রামবাসীর হাতে আটক মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল কদ্দুছকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার রাতে তাকে মির্জাপুর থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে মির্জাপুর থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক জানিয়েছেন।
গত শনিবার রাত আনুমানিক দুইটার দিকে সাদা পোশাকে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক সোহেল কদ্দুছের নেতৃত্বে ৬/৭ জন যুবক উপজেলার গেড়ামারা গ্রামের আলমাছ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। বাড়ির মালিক দরজা না খুলে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেন। বাড়ির মালিকের সন্দেহ হলে তিনি ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করেন। চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের ঘেরাও করে আটক করেন। এ সময় সেখান থেকে দুই যুবক পালিয়ে গেলেও এসআই সোহেল কদ্দুছসহ পাঁচজনকে আটক করে গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে ভোর রাতে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসআই কদ্দুছ ও থানার বাবুর্চিসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আটকৃত অন্যরা হলেন মির্জাপুর থানার বাবুর্চি রংপুর জেলার শহিদুর রহমান ও সাইদুল ইসলাম, বহুরিয়া ইউনিয়নের কোর্ট বহুরিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, মীর দেওহাটা গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়া।
এ ঘটনার খবর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশ হলে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে রাতেই তাকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে সোমবার মির্জাপুর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনেক সদস্য ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত এইআই সোহেল কদ্দুছের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বক্তৃতা করেন জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, এসআই সোহেল কদ্দুছের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানানো হলে তাকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানান। আটককৃত অন্যদের টাঙ্গাইল জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Discussion about this post