কারকনিউজ ডেস্ক : রোজগারের একমাত্র অবলম্বন বাইকটি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত মাথা থেকে হেলমেট খুলবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন উবারচালক শাহনাজ আক্তার পুতুল। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। পুলিশের অসাধারণ তৎপরতায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেটি ফিরে পেয়েছেন আলোচিত এই নারী।
বুধবার তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাইকটি শাহনাজকে বুঝিয়ে দেন।
শাহনাজ হাসিমুখে নিজের বাইকটি বুঝে নেন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
এতো দ্রুতগতিতে বাইক উদ্ধার হওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন শাহনাজ। মুখে বলেই ফেললেন, অবিশ্বাস্য! পুলিশ চেষ্টা করলে সব পারে।
তবে, বাইক উদ্ধারের জন্য সবার আগে গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ দেন শাহনাজ আক্তার।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন লড়াকু নারী শাহনাজ। তিনি এক সাহসী নারী বাইকার। রাইড শেয়ারিংয়ে তিনি নারী-পুরুষ সবাইকেই পাশে বসাতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার বাইকটি চুরি হয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে রাজধানীর খামারবাড়ি থেকে স্কুটি বাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায় জনি নামের ওই যুবক। পরে ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাহনাজ। জিডি নম্বর ৯১১।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, জনি (২৭) নামে এক পাঠাওচালকের সঙ্গে পরিচয় হলে সে তাকে (শাহনাজ আক্তার) চাকরি দেওয়ার কথা বলে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে খামারবাড়িতে চাকরির জন্য আসতে বলে। তবে চাকরির জন্য যার সাথে দেখা করানোর কথা ছিল সে আসেনি।
জনি তার (শাহনাজ আক্তার) সঙ্গে স্কুটিতে করে এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে শেরেবাংলা নগর থানার রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় চা পান করতে যায়। চা পান করার একপর্যায়ে শাহনাজকে স্কুটি চালানোর বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে জনি। স্কুটি চালিয়ে দেখতে চায়। শাহনাজ তাকে স্কুটির চাবি দিলে জনি স্কুটি নিয়ে চলে যায়। এরপর তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অবশেষে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় বাইকটি উদ্ধার হয়। তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে গত রাতে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে স্কুটি মোটরবাইকটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রতারক জনিকেও আটক করা হয়।
Discussion about this post