কারকনিউজ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়নপত্রের ফরম বিক্রি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র ফরম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
ঢাকা দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী নার্গিস রহমানকে ফরম দেয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ফরম বাবদ জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। ফরম জমা দেয়া যাবে আগামী শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে সকাল থেকেই ধানমন্ডি কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হয়েছেন মনোনয়ন প্রার্থীরা। শোবিজ অঙ্গনের অনেক নারী অভিনেত্রীকে সংরক্ষিত আসনের ফরম কিনতে দেখা গেছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের তফসিল আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার আগে ইসি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাইবে, তারা একক, নাকি জোটগতভাবে নির্বাচন করবে। দলগুলোকে এ বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত ৩০ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। এরপর ইসি ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে। তফসিলে মনোনয়নপত্র দাখিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় জানানো হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৩টিই পাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পাবে ৪টি। সংরক্ষিত নারী আসনের আইন অনুযায়ী তারা এই সংখ্যক আসন পাবে।
আইনে বলা আছে, সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে যে দলের যতটি আসন, তার আনুপাতিক হারে ৫০টি আসন দলগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন পেয়েছে। এই হিসাবে তারা পাবে ৪৩টি আসন। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। এর বিপরীতে তারা পাবে ৪টি নারী আসন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৮টি আসন। এই অনুপাতে তারা পাবে ১টি আসন। বাকি ২টি আসন পাবে অন্য দলগুলো।
আইন অনুযায়ী, যে দলের অনুকূলে যতটি আসন নির্ধারিত হবে দলগুলো সেই সব আসনপ্রতি এক বা একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে। একজন করে প্রার্থী দেওয়া হলে ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না। তবে আসনপ্রতি একাধিক প্রার্থী থাকলে দলের সদস্যদের ভোটে একজন নির্বাচিত হবেন।
তবে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে দলগুলো থেকে একের অধিক প্রার্থী দেওয়া হয়নি। যে কারণে ভোটাভুটির প্রয়োজন হয়নি।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি, ঐক্যফ্রন্ট ৭টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাসদ ২টি, জাতীয় পার্টি জেপি ১টি ও তরীকত ফেডারেশন ১টি আসন পেয়েছে। এ ছাড়া ৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের পর আসনটি বিএনপি পেয়েছে।
Discussion about this post