কারকনিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলে ১২টি উপজেলা পরিষদ। সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতে শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন।
টাঙ্গাইলে ১২টি উপজেলা পরিষদে পোস্টার-ব্যানারের মাধ্যমে নিজেদেরকে জানান দিচ্ছেন প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা কেন্দ্রে করছেন লবিং। অপরদিকে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের মাঠে এখন পর্যন্ত সাড়া শব্দ নেই।
ধনবাড়ী
এ উপজেলা পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ৬ জন। এরা হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলম মঞ্জু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী কিসলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন অর রশীদ হীরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বেলাল এবং আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ।
মধুপুর
এ উপজেলা পরিষদে চেয়াম্যান প্রার্থী ৫ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, সাবেক ভাইস চেয়াম্যান ডা. মীর ফরহাদুল মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইয়াকুব আলী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক হোসেন খান।
গোপালপুর
এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ধোপাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও আলমনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ।
ভূঞাপুর
এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আব্দুল হালিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম তরফদার বাদল, নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব সরকার, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ।
ঘাটাইল
বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান সামু অসুস্থ। তাই তিনি নির্বাচনে আসবেন না, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। এখানকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। এরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জামুরিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম খান হেস্টিং, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বজলুল রহিম রিপন, ধলাপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ববিন হায়দার চৌধুরী সাদী ও সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম জনি।
কালিহাতী
এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী বিকম, দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ভূঁইয়া ও গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার।
টাঙ্গাইল
এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট খোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুগড়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মানিক, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা নবীন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও শ্রমিক লীগ নেতা আব্বাস আলী, সাবেক চেয়ারম্যানের আব্দুর রশীদ লেবুর ছেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, জেলা পরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম।
নাগরপুর
এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপির আব্দুস সামাদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত আলী, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুলতান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ।
দেলদুয়ার
চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপির এসএম ফেরদৌস আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন এম শিবলী সাদিক, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মারুফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, জেলা পরিষদের সদস্য হামিম কায়েস বিপ্লব, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মিয়া, এলাসিন ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া।
মির্জাপুর
চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও হংকং আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান সিদ্দিকী, ঊয়ার্শী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ হেল শাফী, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন।
সখীপুর
এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিক-ই-রাসেল, হাতিবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ডিএম শরিফুল ইসলাম শফি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার হায়দার।
বাসাইল
এ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপির কাজী শহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান গাউস ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেন, স্থানীয় সরকারের মধ্যে উপজেলা পরিষদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আওয়ামী লীগের মতো এতো বিশাল দলে একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যারা দীর্ঘদিনের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তি তাদেরই উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে, যাতে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেন এবং জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
Discussion about this post