মাভাবিপ্রবি সংবাদদাতা : মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতি করায় ৪ শিক্ষার্থী আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৫ টায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ২ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের কারাদন্ড ও ২ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (১২ জানুয়ারি, ২০১৯) সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় সন্দেহভাজন ৭ জনকে আটক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন ও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তদন্ত করে ৪ জনকে শাস্তি প্রদান করা হয়।
প্রক্সি দিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে ১ বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত ২ শিক্ষার্থী হলেন, এ ইউনিটের ১ম স্থান অর্জনকারী বগুড়া সদর উপজেলার শেখের কোলার নরুইল উত্তরপাড়া গ্রামের মোঃ জাহেদুর রহমানের ছেলে মোঃ শাহরিয়ার পারভেজ ও সি ইউনিটে ২য় স্থান অর্জনকারী বগুড়ার কলোনী এলাকার এ.কে.এম বদিউজ্জামানের ছেলে রিয়াসত আজিম শাদাব।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল করিম।
ছবি, স্বাক্ষর ও পরীক্ষায় বাংলা-ইংরেজীতে লেখা বাক্যে হাতের লেখা মিল না থাকায় ভর্তি বাতিল হওয়া ২ শিক্ষার্থী হলেন, এ ইউনিটে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জনকারী গাজীপুর রাজেন্দ্রপুর আরপি গেইটের গাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে গাজী মোহাম্মদ বনী ইয়ামিন শাওন এবং বি ইউনিটে ১৪১ তম স্থান অর্জনকারী টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার দিঘুলিয়া
কালিপুর গ্রামের নিলমনি কর্মকারের ছেলে জয় কর্মকার।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, জালিয়াতির সন্দেহের ভিত্তিতে এদেরকে আটক করা হয়। আমরা বিশ^বিদ্যালয় প্রসাশন ও টাঙ্গাইল জেলা প্রসাশন তদন্ত করি। তদন্ত সাপেক্ষে জালিয়াতির সাথে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রদান করা হয়।
Discussion about this post