টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শিউলি বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী হত্যার পর স্বামী গা ডাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের পাঁচদানা গ্রামে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেড়যুগ আগে এ উপজেলার চামারী ফতেপুর গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে জালাল মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী পাঁচদানা গ্রামের জাবেদ আলীর পা প্রতিবন্ধী মেয়ে শিউলী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জালাল তাকে এরিয়ে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে জালাল আরেকটি বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর সে ওই স্ত্রীকে নিয়েই বসবাস করতে থাকেন। বুধবার সন্ধায় হঠাৎ জালাল পাঁচদানা গ্রামে শিউলীদের বাড়িতে আসেন। রাতের খাবার শেষে দুজনেই এক ঘরে ঘুমিয়ে পরেন। রাতের কোন এক সময় জালাল স্ত্রী শিউলীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের বাইরে থেকে ছিটকেরি আটকিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে দরজা খুলে শিউলিকে বিছানার ওপর মৃত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় স্বামী পলাতক রয়েছে।
Discussion about this post