টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার মুক্তা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলন এই দাবি জানানো হয়। সোনিয়া ঘাটাইল উপজেলার মহিদহ গ্রামের মনিরুজ্জামানের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনিয়ার ভাই উজ্জল হোসেন খান অভিযোগ করে বলেন, ৭ বছর আগে তার বোন সোনিয়াকে দেলদুয়ার উপজেলার নরুন্দা গ্রামের মজিরর রহমানের ছেলে মিঠুন মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আরোহী নামের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন সোনিয়াকে অত্যাচার নির্যাতন করতো। সোনিয়ার স্বামী দেশে ফিরে অন্য কোন ভালো কাজ না পেয়ে আবার বিদেশ যাওয়ার জন্য ৭ লাখ টাকা দাবি করে সোনিয়ার পরিবারের কাছে। পরে গত সোমবার ৭ জানুয়ারি সকালে যৌতুকের দাবিতে তার বোনের স্বামী মিঠুনের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে সোনিয়াকে হত্যা করে। পরে সোনিয়ার লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। নিহত সোনিয়ার গায়ের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে দেলদুয়ার থানা পুলিশ কোন মামলা গ্রহণ করেননি। এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে নিহতের পিতা মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
Discussion about this post