রংপুর অঞ্চলে শীতের তীব্রতার কারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনায় রবিবার রাতে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দগ্ধের ঘটনায় গত ৫ দিনে মোট ৪জনের মৃত্যু হলো। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০জন।
নিহতরা হলেন, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ির শাহাজাহান আলীর স্ত্রী শহিনা বেগম (২৩), আদিতমারী উপজেলার মোমেনা বেগম (৩২), কালিগঞ্জ উপজেলার রাজিয়া বেগম (২৭) ও নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খড়িবাড়ির নয়া মিয়ার ছেলে সাইমুল (১৮)।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান সহকারি অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি। হতদরিদ্র পরিবারগুলো শীত নিবারণ করতে আগুন পোহানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য দরিদ্রদের মাঝে জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যাগ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এদিকে রংপুর অঞ্চলে তীব্র শৈত্য প্রবাহে জনজীবন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। তারা শীত বস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
Discussion about this post