বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চর সাহেবরামপুর এলাকার কাশবন থেকে গিয়াস উদ্দিন সরদার (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, ২৫ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে দুর্বৃত্তরা গিয়াস উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায়।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রীর অভিযোগ, মুলাদী থানায় অপহরণের মামলা দিতে গেলে নেয়নি পুলিশ। ১০ দিন পর একটি জিডি নেয় পুলিশ।
নিহত গিয়াসের মামা মো. মহিসন বলেন, গিয়াস কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিলে সম্প্রতি ভিসা আসে। স্ত্রীসহ সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে যেতে এবং স্বজনদের বলতে ২৫ ডিসেম্বর সকালে গ্রামের বাড়িতে আসে। গ্রামের বাড়িতে এসে স্বজনদের সঙ্গে কোরিয়া যাওয়ার বিষয় নিয়ে পারিবারিক বৈঠকও হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় সেলিমপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন, মোকসেদ ও দুলাল এসে গিয়াসকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর গিয়াসের স্ত্রী রিমা বেগম মুলাদী থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ উল্টো তাকে আটকে রাখে। পরে থানায় লোক পাঠালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে কাশবনে গিয়াসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ ও আমাদের খবর দেয়। মরদেহর পায়ের কিছু অংশ শিয়ালে খেয়েছে। মুখ কালো হয়ে গেছে। দেখলে মনে হয় এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছে। আমার ধারণা গিয়াসকে হত্যার পর মরদেহ ওই চরে ফেলে রাখা হয়।
মুলাদী থানা পুলিশের ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, মরদেহের ধরন দেখে মনে হচ্ছে সেটি কয়েকদিন ধরে কাশবনে পড়েছিল। তার মুখ কালো হয়ে গেছে। পায়ের কিছু অংশ শিয়ালে খেয়েছে। ২-৩ দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, গিয়াস উদ্দিন এলাকায় একটি সমিতি পরিচালনা করতো। স্থানীয়রা তার কাছে ৬০-৭০ লাখ টাকা পাবে। গত ৩১ ডিসেম্বর রিমা বেগম থানায় এসে তার স্বামী নিখোঁজ বলে অভিযোগ করেন। একই সময়ে পাওনাদাররাও থানায় এসে পাল্টা অভিযোগ করেন। ওই সময় পাওনাদারদের আদালতে মামলা করার পরমর্শ দেই। গিয়াস নিখোঁজের বিষয়টি তদন্ত করে ৫ জানুয়ারি রিমার অভিযোগ জিডি হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। মোবাইল ট্র্যাকিং করে গিয়াস উদ্দিনের সন্ধান চলছিল।
গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী মামলা দিতে এলে তাকে কেন থানায় আটকে রাখা হয়েছিল তা জানতে চাইলে ওসি কোনও উত্তর দেননি।
Discussion about this post