টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নিউ মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অন্তরালে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, নাগরপুর উপজেলা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন নিউ মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দীর্ঘদিন ধরেই চলছে সেবার নামে প্রতারণা। এ ক্লিনিকে ডা. ফারহানা আফরোজ এমবিবিএস, পিজিটি এবং গাইনী ও অবস্, এমএস (কোর্স), ডিএমইউ সনোলজিস্ট ডিগ্রী ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে সাধারণ মানুষদের সাথে। ফলে স্বাস্থ্য সেবার নাম করে উপজেলার অসহায় গরীব রোগী ও তার স্বজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে। ফারহানা আফরোজের চিকিৎসা বিদ্যায় তেমন কোন সনদ না থাকলেও ক্লিনিক মালিকদের সাথে মিলে প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন। ক্লিনিকের সামনে ও ভেতরে বড় বড় ব্যানার দিয়ে প্রচার করছেন এই ফারহানা আফরোজের ভুয়া বড় বড় ডিগ্রী। ফলে এ ক্লিনিক মালিকদের মিষ্টি কথায় ও ব্যানার দেখে অনেক রোগী ও তার স্বজনরা যাচ্ছেন উন্নত চিকিৎসার আশায়। ফলে ভুয়া ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকরা লাভবান হলেও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে ভুয়া ডাক্তার ফারহানা আফরোজ তার চিকিৎসা বিদ্যার কোন সনদ নেই স্বীকার করে বলেন, আমার বিএমডিসির কোন রেজিস্টেশন নম্বর নেই। এরপরেই তিনি ক্লিনিক থেকে সটকে পড়েন। পরে আর তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা বলেন, এসকল ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত কোন লোকই হয়তো নেই আরতো ডাক্তার। এদের আইনের আওতায় আনা জরুরী। এলাবাসীর দাবী এমন ডাক্তারদের শাস্তি দিয়ে ক্লিনিক বন্ধ করে প্রতারক চক্রের হাত থেকে তাদের মুক্ত করবে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে ক্লিনিক মালিক গোলাম সারোয়ার বলেন, ডাক্তার ফারহানার রেজি. নম্বরসহ সকল কাগজ আমাদের কাছে আছে। আর তাছাড়া সদর হাসপাতালের টিএইচও এবং আরএমও জানেন ডা. ফারহানা আফরোজের রেি স্টেশন আছে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা সদর হাসপাতালের আরএমও রোকনুজ্জামান বলেন, ক্লিনিক মালিকদের দায়িত্ব আইন মেনে ক্লিনিক পরিচালনা করা, আমিতো ক্লিনিক মালিকনই। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
Discussion about this post