ময়মনসিংহের ত্রিশালে অভিযান চালিয়ে ৮ অপহরকারীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় এক নারীসহ ২ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের ফজলুর রহমানেরর ছেলে মো. রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) (২৬) ও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চাইরাবাদ গ্রামের আক্কাছ আলীর মেয়ে মোছা. মিনা খাতুন (৩০)।
তারা দুজনেই ভালুকা উপজেলার হাবির বাড়ি ইউনিয়নের জামিরদীয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ করেন বলে জানা গেছে।
এর আগে বুধবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়ক ও জনপদ বিভাগের পরিত্যক্ত একটি টিনসেড ঘরের ভেতর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৪ এর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাব-১৪ সিপিএসসি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর শিবলী সাদি এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১ জানুয়ারী) রাত ৭ টার দিকে ত্রিশাল উপজেলার বাসষ্টান্ড এলাকা থেকে এক নারীসহ দুইজন ভিকটিম অপহৃত হয়। র্যাব-১৪, সিপিএসসি র্যাবের একটি আভিযানিক দল অপহরণ সম্পর্কিত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়ক ও জনপদ বিভাগের পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরের ভেতরে ভিকটিমকে জিম্মি করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং মুক্তিপণ আদায়ের জন্য মারধর করে।
তিনি আরও জানান, পরে রাতেই র্যাব-১৪, সিপিএসসি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম মো. রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও মোছা. মিনা খাতুকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ ৮ জন সদস্যকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, মো. শহিদুল আলম (৩০), মো. মোজাম্মেল হক (২৫), মো. বাবু (২৩), মো. শুভ মিয়া (৪০), মো. খলিল (২৬), মো. নুর মোহাম্মদ (২০), মো. মিজানুর রহমান (২৫), মো. রুবেল মিয়া (২৭)।
অপহরণ চক্রের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ চক্রের সাথে পেশাগতভাবে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
Discussion about this post