নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জেরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চার সন্তানের জননীকে (৩২) গণধর্ষণের ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার একটি ইটভাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি করার পর এ নিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে মদ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। সে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। এর আগের দিন সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসুকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ধানের শীষে ভোট দেয়ায় গত রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন কর্মী রাত ১০টার দিকে সিরাজ মিয়া নামে এক সিএনজি চালকের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে।
রাতে তারা সিরাজ মিয়ার বাড়ি এসে পুলিশ পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে। সিরাজ মিয়া দরজা খুললে ঘরে ঢুকে তারা সিরাজ মিয়া ও তার চার সন্তানের হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তার স্ত্রীকে (৩৫) ঘরের বাইরে নিয়ে যায় এবং রাতভর গণধর্ষণ করে। পরের দিন সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে উলঙ্গ অবস্থায় ঘরের পাশে ফেলে যায় এলাকাবাসী সকালে স্ত্রীকে উদ্ধার করে এবং অজ্ঞান অবস্থায় বেলা সোয়া ১২টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
Discussion about this post