টাঙ্গাইল-১ (ধনবাড়ী-মধুপুর) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৭ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্বী বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ১৬হাজার ৪০৬ ভোট।
এ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৩৯ টি এবং ভোট কক্ষ ৭১৬ টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৬৪৯৯১ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১৭৯০৪৮ এবং নারী ভোটার হচ্ছে ১৮৫৯৪৩ জন।
জানা যায়, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মো: আবুল হাসান চৌধুরী জয়লাভ করেন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের প্রতিটি নির্বাচনেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জয়লাভ করে আসছেন। তবে ১৯৯৬ সালের ১২ই ফেব্রয়ারির ভোটার বিহীন নির্বাচনে বিএনপির তৎকালীন মহাসিচব ব্যরিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই হিসেবে এটিকে আওয়ামীলীগের দূর্গই বলা যেতে পারে। মূলত: প্রতিটি নির্বাচনেই সঠিক প্রার্থী নির্বাচনে ব্যর্থতার কারনেই কখনোই আওয়ামীলীগের এই আসনে ভাগ বাসতে পারেনি প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল বিএনপি এমনটাই মনে করেন স্থাণীয় রাজনৈতিক সচেতনরা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক উপর। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এ নেতা তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের কারনে এবং দলীয় নেতাকর্মীরাও তার ব্যপারে ঐক্যবদ্ধতার কারনে এবারও নির্বাচিত হবে যাচ্ছেন বলে দাবী করছেন তারই দলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে অতীতের যেকোন প্রার্থীর চেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন মধুপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুল ইসলাম সরকার (সরকার শহীদ) বলে দাবী করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবী সরকার শহীদ একজন নিবেদিতপ্রান জননেতা। তার জনপ্রিয়তার ধারে কাছে নেই কেউ। তাছাড়া তিনি মধুপুর ধনবাড়ীর স্থানীয়, সে হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ১৯৯১ সালের পর এবারই প্রথম এই আসনে বিএনপি জয়লাভ করতে পারে।
এদিকে মূল লড়াই আওয়ামীলীগ বিএনপির মধ্যে হলেও এ আসনে নির্বাচনে আরো অংশ নিচ্ছেন মোঃ আবু মিল্লাত হোসেন এনপিপি (আম) মোঃ আশরাফ আলী ইসলামী আন্দোলন (হাত পাখা), ও জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ সালামত হোসাইন খান (গোলাপ ফুল) সহ মোট ৫ জন।
Discussion about this post