কারা পাচ্ছে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশ পরিচালনার দায়িত্ব? ক্ষমতাসীন মহাজোট, নাকি তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট? এ প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে উৎসব মুখর পরিবেশে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে কাল ভোটগ্রহণ হবে না। বাকি ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হবে।
রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে দলীয় সরকারের অধীনে এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই এবারের নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোট দিতে ইতোমধ্যে রাজধানী ছেড়ে নিজ-নিজ এলাকায় পৌঁছেছেন ভোটারা।
নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে নির্বাচন কমিশন ( ইসি) ও রাজনৈতিক দলগুলো। এবারের নির্বাচনে দেশের নিবন্ধিত সব কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ করেছে।
নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। দেশের প্রায় সব নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছে গেছে ব্যালট পেপার। মাঠে নামানো হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদেরও নির্বাচনী মাঠে নামানো হয়েছে। দেশের মোট ছয়টি আসনে ভোট হবে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)।
নির্বাচন ঘিরে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে প্রস্তুত রয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীও। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীও ‘এইড টু সিভিল পাওয়া’-এর আলোকে দায়িত্ব পালন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
ইতিমধ্যে নির্বাচনী সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষে নির্বাচন মনিটরিং, সমন্বয় এবং পর্যবেক্ষণের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিজ দলের ও মহাজোটের মনোনীত সব প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রম মনিটরিং ও সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সারাদেশে দলীয় প্রার্থী ও এজেন্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ সহায়িকাও। আট বিভাগের জন্য আটটি টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর স্থাপন করা হয়েছে। এসব নম্বরে সারা দেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসভাসহ সব শাখার নেতাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সুবিধা থাকছে।
এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে একটি চৌকস টিম, যারা দলের পক্ষে ইসির কাছে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরবেন এবং প্রতিকার চাইবেন।
বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য খোলা হয়েছে আরেকটি পৃথক সেল। হোটেল সোনারগাঁয়ে স্থাপিত তথ্য কেন্দ্র থেকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহযোগিতা প্রণয়ন করা হবে।
নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম ব্রেকিংনিউজকে বলেন, উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে মানুষ। আওয়ামী লীগসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর এদেশের মানুষ আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করবেন।
Discussion about this post