প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে।
সোমবার ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত চলমান ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, সেনাবাহিনী নামায় ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। আমি মনে করি যে অল্প কিছু অরাজকতা ছিল তা এখন দূর হবে। সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার খাতিরে যেকোনো ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারবে। এই বিষয়ে আইন আছে, সে অনুসারে তারা কাজ করবে।
তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরানোর উদ্দেশ্যেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারো অনুরোধ জানাবো, হাঙ্গামা সহিংসতা আন্তঃকোন্দল দূর করে শুধু দলীয় প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সোমবার সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। রোববার থেকে তারা নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় রওনা দেয়। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীর সদস্যরাও নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। ৩৮৯ উপজেলায় সেনা ও উপকূলবর্তী ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন এক হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের মাঠে থাকার কথা রয়েছে। অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি বিজিবি সীমান্তবর্তী ৮৭ উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
Discussion about this post