বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের ছায়া পড়ল এবার বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে। শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সফরকারীদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ববর্তী ম্যাচে দুইদলই একটি করে জয় পাওয়ায় গতকালের ম্যাচটি ছিলো অলিখিত ফাইনাল। আর এ ম্যাচেই বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের ঘটনার ঘটে।
সফরকারীরা এদিন ৫০ রানে ম্যাচে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়। সিরিজ জিতলেও উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েট ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মনের জমা সব ক্ষোভ উগরে দেন।
তিনি বলেন, ‘একটা তরুণ, অনভিজ্ঞ বোলার যখন কষ্টেসৃষ্টে একটা উইকেট বের করেছে, তখন উল্টো দেওয়া হলো নো-বল। তাকে আরও একটা অতিরিক্ত বল করতে হলো, সেটিতে ছক্কাও খেতে হলো! মানসিকভাবে শুধু বোলারই নয়, এটির প্রভাব পড়ে পুরো দলের ওপরই।’
ব্রাথওয়েট বলেন, ‘আমি কখনোই কাউকে চিটিংয়ের জন্য অভিযুক্ত করব না। এখানেই থামব। তারাও পেশাদার বটে। মনে হয় না তারা ওখানে (মাঠে) পক্ষ নেওয়ার জন্য যাবে বা আরও খারাপ করে বললে চিট করতে যাবে। আমি তাদের বিরুদ্ধে চিটিংয়ের অভিযোগ করছি না।’
তিনি বলেন, ‘আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই থেকেছে, খেলা ফের শুরু হয়েছে এবং ম্যাচটা শেষও হয়েছে। আমি অবশ্য ম্যাচ রেফারির কাছে পাঁচ মিনিট চেয়েছি আবার স্বাভাবিক হতে এবং যে ঘটনা ঘটেছে সেটা ভুলে যেতে। ধন্যবাদ তারা সে সময়টা আমাদের দিয়েছে। এতে করে সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। ঘটনাটা আমাদের সবার বিপক্ষেই গিয়েছিল। তবে প্রতিকূল সময়ে আমি শুধু কথা বলেছি। পরিস্থিতি সামলে সবাই আবার খেলায় ফিরেছে। সবাই বলেছে এটার জন্যই আমাদের জিততে হবে। এর পর তো দেখেছেনই কী হয়েছে। অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কাছে থেকে এটা পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার ছিল। আমি মনে করি তাদের সবাইকে আমরা এক রাখতে পারি, শেখাতে পারি কীভাবে পেশাদার হতে পারি। আমি মনে করি সামনে আমরা আরও ভালো করব।’
প্রসঙ্গত, ক্যারিবীয় পেসার ওশান থমাসের করা দলীয় চতুর্থ ওভারে দুটি ভুল ‘নো’ বল ডাকেন আম্পায়ার তানভির। প্রথম নো বলটিতে চার হাঁকিয়েছিলেন লিটন। আর ফ্রি-হিটে পেলেন ছয়। দ্বিতীয়বার ডাকা ‘নো’ বলে উঠে যায় ক্যাচ, মুঠোয় জমান ফিল্ডার।
রিপ্লেতে থমাসের পায়ের কিছু অংশ লাইনের মধ্যে থাকতে দেখে প্রতিবাদ জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। ব্রাফেট রিভিউয়ের ইশারাও দেন। আম্পায়ার তানভির জানিয়ে দেন ‘নো’ বলের রিভিউ নেই। কিন্তু আউটটা কোনোভাবেই মানতে চাচ্ছিলেন না ব্রাফেট।
ড্রেসিংরুমের বার্তা নিয়ে আসেন দু’জন। এরপর ক্যারিবীয় অধিনায়ক চলে যান বাউন্ডারির কাছে। সেখানে থার্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো’র সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় যোগ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবও। পরে দুই ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন সোহেল। সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকে। এ সময় খেলা বন্ধ ছিল প্রায় আট মিনিট।
Discussion about this post