ইন্দোনেশিয়ার সুন্দা স্ট্রেট উপকূল অঞ্চলে সুনামির আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার বরাত দিয়ে রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, সুনামির আঘাতে আহত হয়েছেন ৫৮৪ জন। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবিসি জানায়, ভয়াবহ এই দুর্যোগে শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমন ভয়াবহ সুনামির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে অন্তঃসাগরীয় ভূমিধসকে দায়ী করা হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা স্থানীয়দের সতর্ক করে জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভরা পূর্ণিমায় সাগর আরও উত্তাল হলে শক্তিশালী ঢেউ ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এর আগে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাটি জানায়, শনিবার (২২ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সুনামির তাণ্ডব শুরু হয়।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রোহো জানান, সুনামির কারণ ক্র্যাকাটোয়া আগ্নেয়গিরি। প্রবল অগ্ন্যুৎপাতের জেরে সুনামি আছড়ে পড়ে জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মাঝে অবস্থিত সুন্দা স্ট্রেটে। সুনামির তাণ্ডবে একের পর বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করে।
ইন্দোনেশিয়ান আবহাওয়াবিজ্ঞান, ক্লিম্যাটোলজি এবং জিওফিজিক্যাল এজেন্সি (বিএমকেজি) বলছে, এ সুনামি কোনো ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়নি। সম্ভবত লামপাংয়ের মাউন্ট ক্রাকাতোয়া দ্বীপের আগ্নেয়গিরি প্রভাব থেকে এ সুনামির উৎপত্তি হয়েছে।
Discussion about this post