সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সফরকারী উইন্ডিজের দেয়া ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন অপেনার লিটন দাস। দলীয় ২২ রানে ব্যক্তিগত ৮ রান করে তামিম রান আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর সৌম্য-লিটন মিলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন। তবে একই ওভারে সৌম্য ও সাকিবকে ফিরিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান ক্যারিবিয়ান স্পিনার অ্যালেন। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ হতেই পলের শিকার হন মুশফিকুর রহিম।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৭০ রান। লিটন ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গী হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েটকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান।
ব্যাট করতে নেমে শাই হোপকে নিয়ে টাইগার বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হন লুইস। ১৮ বলে তুলে নেন ফিফটি। তবে দলীয় ৭৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব। ১২ বলে ২৩ রান করা শাই হোপকে ক্লিন বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান টাইগার কাপ্তান।
কিন্তু কিছুতেই থামানো যাচ্ছিল না এভিন লুইসকে। আরও একবার তার বিধ্বংসী রুদ্ররূপ দেখলো মিরপুরের গ্যালারি। তার একের পর এক চার-ছক্কায় মাত্র ৭ ওভার ১ বলেই ১০০ রান তুলে ফেলে ক্যারিবিয়রা। কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছিল না তখন ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ৩৬ বলে ৮৯ রান করা লুইসকে বোল্ড আউট করার পরের বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শিমরন হেটমায়ারকে। ৮টি ছক্কা ও ৬টি চারের মারে ৮৯ রান করেন লুইস।
এর পর দলীয় ৯০ রানে কিমো পলকে আরিফুল হকের ক্যাচে পরিণত করেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ৩ বলে ২ রান করেন পল।
দলীয় ১২২ রানে শিমরন হেটমায়ার আউট হওয়ার পর ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আর কেউ তেমনভাবে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪ বল হাতে রেখেই ১৯০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
দলের পক্ষে অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নিকোলাস পরান ২৪ বলে ২৯ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক কালোর্স ব্রাথওয়েট ৮, রাদারফোর্ড ২, অ্যালেন ৮ ও কটরেল ২ রান করেন।
টাইগার বোলারদের মধ্যে ৩.২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩টি, ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে সাকিব আল হাসান ৩টি, ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে মোস্তাফিজ ৩টি উইকেট নেন।
Discussion about this post