একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ভরা মৌসুমেও কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেন, ঠিক এই পর্যটন মৌসুমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় অন্যান্য বছর মতো ব্যবসা করতেন পারছেন না তারা। এ বছর পর্যটন খাতের ব্যবসায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।
তাদের মতে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পারে। আর এ কারণে জানুয়ারি মাসেও কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায় ধসের আশঙ্কা করছেন তারা।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল ওনার’স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও তারকা হোটেল সীগাল এর ব্যবস্থাপক ইমরুল সিদ্দিকী রুমী বলেন, মানুষ একটু প্রশান্তির খোঁজে প্রতি বছর শীতের মৌসুমে ভিড় করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। কিন্তু এ বছর তা ব্যতিক্রম হবে। আগে ডিসেম্বর শেষের ১০ দিন হোটেলের বুকিং নভেম্বর মাসে হয়ে যেতো। কিন্তু এবছর ডিসেম্বর মাসেও আগাম বুকিং এর কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান জানান, কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় তিন শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। এবার লাভের কথা দূরে থাক উল্টো ঘাটতির শঙ্কা রয়েছে।
ট্যুর ব্যবসায়ী রুহুল কাদের মোর্শেদ জানান, প্রতি বছর কক্সবাজারের পর্যটন স্পট সমুদ্র সৈকত, ইনানী, সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি, সোনাদিয়া, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলহাজারা, বঙ্গবন্ধু সাফারি র্পাক, গুদুম গুহা, রামুর রামকোট, ১০০ ফুট বিশিষ্ট সিংহশয্যা বৌদ্ধমূর্তি ভ্রমণ করতে পর্যটকরা আগাম বুকিং দিয়ে রাখতো। এবার পর্যটক আগমনের তেমন কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছের না।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প উন্নয়নে নানাভাবে কাজ করা হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপদ ও স্বাছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য নেয়া হয়েছে সব প্রস্তুতি। সব পর্যটন স্পর্টে পর্যটক যাতায়াতে বিশেষ নজরদারি রয়েছে। এবার পর্যটক আসুক বা না আসুক তবে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এ জন্য জেলা প্রশাসনের আলাদা একটি পর্যটন সেল রয়েছে। যা একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পর্যটকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়মিত তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে।
Discussion about this post