সিরিয়া থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান নেতাদের পাশাপাশি অনেক মিত্র দেশও ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত নয়।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করা হয়েছে দাবি করে সৈন্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
এদিকে সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করলে আইএসের পুনরুত্থান ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রিপাবলিকান নেতারা।
জিহাদি এ গোষ্ঠীকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তদের সমর্থিত বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ওই অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় এখনো আইএসের যোদ্ধারা সক্রিয়।
রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে পরিচিত সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ট্রাম্পের সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েছেন। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে ওই অঞ্চলে ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব বাড়বে বলেও আশঙ্কা তার।
“এই সময়ে সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা ইসলামিক স্টেট, ইরান, সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ ও রাশিয়াকে বড় ধরনের জয় এনে দেবে,” বলেছেন গ্রাহাম।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, আইএস পুরোপুরি পরাজিত হয়েছে ট্রাম্পের এ দাবির সঙ্গে একমত নয় তারা।
সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প বুধবার টুইটারে বলেন, ‘ঐতিহাসিক বিজয়ের’ পর এখন তাদের (মার্কিন সেনা) ঘরে ফিরিয়ে আনার সময় হয়েছে।
এদিকে সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৩০ দিনের মধ্যেই সৈন্যদের ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইসরাইল বলছে, সৈন্য ফিরিয়ে নিলেও ‘ভিন্ন উপায়ে এ অঞ্চলে প্রভাব ধরে রাখা হবে’ বলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের জানিয়েছে।
Discussion about this post