কারকনিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বকুল আহাম্মেদের উপর হামলা চালিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। চেয়ারম্যান চান মামুদ পাকিরের নির্দেশে ১০-১২ ব্যক্তি ওই নেতাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনাটি ঘটায়। ওই ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. বকুল আহাম্মেদ বাদি হয়ে বুধবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, বল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বকুল আহাম্মেদ কালিহাতী উপজেলা সদর থেকে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলবার(৯ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের গেটের সামনে পৌঁছালে কতিপয় ব্যক্তি তার পথরোধ করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান চান মাহমুদ পাকিরের নির্দেশে সবুজ মিয়া, গাফফার হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব সহ ১০-১২ যুবক অতর্কিতভাবে তাকে কিল-ঘুষি মারে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্যরাও লাথি ও কিল-ঘুষি মারে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা বকুল আহাম্মেদকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রামপুর বাজারে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
অভিযোগকারী বকুল আহাম্মেদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান চান মামুদ পাকির একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তিনি বিএনপি মনোভাবাপন্ন লোকদের সাথে নিয়ে সব সময় পরিষদ পরিচালনা করেন। যে কোন কাজে তিনি বিএনপির লোকদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। যেমন ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটি গঠনকালে তিনি ছাত্রদল নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসান। বুধবার মামলায় অভিযুক্তদের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান চান মামুদ পাকিরকে তার বাড়িতে শলা-পরামর্শ করতে দেখা যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান চান মামুদ পাকির জানান, বকুল আহাম্মেদ বিএনপির একজন দালাল। ঐতিহ্যবাহী বল্লা ও রামপুর গ্রামের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির জন্য বকুল আহাম্মেদ এ ঘটনা সাজিয়েছেন। এ ধরণের কোন ঘটনা বল্লায় ঘটে নাই।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, বল্লা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে দেয়া একটি অভিযোগ পেয়েছি। থানার এসআই মনিরুজ্জামান বিষয়টি তদন্ত করছেন,তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Discussion about this post