টেরেসা মে-র নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল অনেক আগেই। এবার তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ভোট ডেকেছে কনজারভেটিভ পার্টি।
বুধবার(১২ ডিসেম্বর) দলটির পার্লামেন্ট সদস্যরা এ ভোটে অংশ নেবেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট চলবে। নেতৃত্ব থেকে ছিটকে গেলে মে-কে প্রধানমন্ত্রীর পদও হারাতে হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কনজারভেটিভ পার্টির সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি জানান, মে-র নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ভোট আয়োজনে প্রয়োজনীয় ৪৮ টোরি আইনপ্রণেতার চিঠি পেয়েছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পর ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি কনজারভেটিভ দলপ্রধানেরও দায়িত্ব নিয়েছিলেন মে।
আগাম নির্বাচনে বড় ধরনের পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইইউর সঙ্গে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নিয়েও বেশ চাপে আছেন এ নারী। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার পর যে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা তিনি গেলাতে চাইছেন তা দলের ভেতরেই তুমুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
নেতৃত্বের পরীক্ষায় মে উৎরে গেলে নিয়ম অনুযায়ী আগামী এক বছর দলে তার বিরুদ্ধে কোনো অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না, জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবারের ভোটে হেরে গেলে কনজারভেটিভ পার্টিকে নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে হবে। আস্থা ভোটে অল্প ব্যবধানে জিতলেও মে পদত্যাগ করতে পারেন, ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও টেরেসা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদেই থাকতে পারবেন মে। নতুন নেতৃত্ব ঠিক করতে কনজারভেটিভদের ছয় সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
ব্রেক্সিট নিয়ে টালমাটাল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধী লেবার পার্টিরও।
চলতি সপ্তাহে মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনাটি নিয়ে হাউস অব কমন্সে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ভোটে ওই পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যাত হলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অনাস্থা আনার প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছিলেন লেবার নেতা জেরমি করবিন।
অবস্থা বেগতিক দেখে পরে ভোট স্থগিত করে দেন মে। এরপর দলের ভেতরেই তাকে নেতৃত্বের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
`আমরা দলের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছি। অবশ্যই উত্তরসূরী নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকছেন,’ বলেছেন হাউস অব কমন্সে কনজারভেটিভ সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান ব্র্যাডি।
Discussion about this post