২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মাঝখানে ১৭ বছর ১৫ দিন। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার। এরপর ক্রিকেট অঙ্গনে পথচলায় এসেছে ইনজুরির বাধা।
সেই সময়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে বল করা এই পেসার পরে কাঁধে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলেরও দায়িত্ব। সাতটি অস্ত্রোপচারের পরও হাঁটুতে ক্যাপ পরে মাঠে নেমে পথ দেখিয়েছেন দলকে।
গতকাল উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজের ২০০তম ওয়ানডে পূর্ণ করলেন মাশরাফি। তবে দেড় যুগ পরেও বোলিংয়ের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের বোলিং স্পেল স্মরণীয় করে রাখলেন টাইগারদের দলীয় অধিনায়ক।
দল জিতেছে। আর নিজে দলের সেরা বোলার। রাজনীতির মাঠের নানা সমালোচনাকে সঙ্গী করে মাঠে নেমে প্রমাণ করেছেন ক্রিকেটের প্রতি তার নিবেদন অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে আলাদা।
স্বভাবতই চোখ ছিলো তার উপর। সেটা তার দুইশতম ওয়ানডের ল্যান্ডমার্ক ম্যাচ বলে। ঘরের মাঠে সম্ভাব্য হোম সিরিজে বিদায়ের বার্তা বলেও। রাজনৈতিক ইনিংস শুরুর ঘোষণাটাও যে প্রভাব ফেলেনি তার উপর চোখ রাখতে তা হলফ করে বলা যাবে না।
টস থেকে বোলিং, ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট একটু কি আনমনা অদম্য মাশরাফি বিন মর্তুজা?
কিন্তু বল হাতে সেই সতের বছর আগের টগবগে তরুণ। উদ্যমী। সাফল্য ক্ষুধায় কাতর। নিজের ২০০তম ওয়ানডেতেও দলের সেরা বোলার।
অধিনায়কের জন্য জান বাজি রাখা তামিম ইকবাল শূন্যে ভেসে ধরেছেন ড্যারেন ব্রাভোর ক্যাচ। শেই হোপকে ফেরাতে সহযোগী মেহেদী হাসান। আর প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচটি ধরেছেন লিটন দাস।
২০০তম ওয়ানডেতে নেমেও তরুণ মিরাজ, মুস্তাফিজ, সাকিবের চেয়ে অনেক এগিয়ে মাশরাফি। ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট। চিরচেনা মাশরাফি নিজেকে সেরা প্রমাণ করেই স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের ২০০তম ওয়ানডের বোলিং স্পেল। ওয়ানডেতে নড়াইল এক্সপ্রেসের উইকেট সংখ্যা ২৫৫।
রাজনীতিকে ক্রিকেট মাঠের বাইরে রাখার প্রতিশ্রুতি প্রথম ম্যাচে ঠিকই পালন করেছেন মাশরাফি। নায়ক থেকে যিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটে মহানায়ক।
Discussion about this post